ঘাটাইলে চার্জার ফ্যানের সংকট, বেড়েছে দাম


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৫৯ অপরাহ্ন, ৯ই জুন ২০২৩


ঘাটাইলে চার্জার ফ্যানের সংকট, বেড়েছে দাম
ছবি: জনবাণী

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গরমে চার্জার ফ্যানের সংকট বেড়েছে। বেড়েছে দামও। সারাদেশে চলমান তীব্র গরমের কারণে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ফ্যানের দোকানে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। 


বিশেষ করে লোডশেডিংয়ের সময় গরমে স্বস্তি পেতে চার্জার ফ্যান কিনতে আগ্রহী বেশিরভাগ ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রতিটি ফ্যানের। 


অন্যদিকে দোকানিদের দাবি আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর ফ্যানের দাম বেড়েছে।


চাহিদা বাড়ায় ঘাটাইল এসব ফ্যানের সংকট তৈরির পাশাপাশি প্রতিটি ফ্যানের মূল্য বেড়েছে আকার ও কোম্পানিভেদে ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে দাম শুনে অনেকেই না কিনে চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন। 


ভিশন, ওয়ালটন, ক্লিক, সানকা, সিঙ্গারসহ নানা ব্র্যান্ডের চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে দোকানে। এছাড়াও ছোট ও টেবিল চার্জার ফ্যান রয়েছে ঘাটাইল উপজেলায় বিভিন্ন মার্কেটে। 


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ে চার্জার ফ্যানের কদর বেড়েছে


ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা যায়, লোডশেডিংয়ের কারণে গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যান কিনতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এ ফ্যানগুলো চালানো যায়। বেশ কয়েকদিন ধরে গরমের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এর ফলে ফ্যানের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়েছে। 


বর্তমানে যেসব চার্জার ফ্যান ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে তা গত বছর ছিল ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এছাড়াও চার্জার ফ্যানগুলো বেশি বিক্রি হওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে ভালো মানের চার্জার ফ্যানের।


ঘাটাইল সদর উপজেলার বাজার রোড ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ফ্যান কিনতে আসা মো. বিপ্লব হোসেন বলেন, গত তিনদিন আগে চার্জার ফ্যান কিনতে বাজারে এলে দোকানে কোনো ফ্যান পাইনি। তিনদিন পরে আসতে বললে এখন এসে দেখি প্রতিটি ফ্যানের মূল্য বেশি। ছোট চার্জার ফ্যান যা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দাম ছিল তা এখন একদাম ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। কোন উপায় না পেয়ে ফ্যান কিনতে না পেরে বিভিন্ন দোকানে ঘুরছি।


ঘাটাইল কলেজ মোড় ইলেকট্রনিক দোকানদার ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে লোডশেডিংয়ের কারণে চাহিদা বাড়ায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। তাছাড়া এখন আমাদেরকে ঢাকা থেকে চাহিদামত বিক্রির জন্য ফ্যান দিতে পারে না।


দোকানের ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা একত্রে বেশি টাকার পণ্য কিনতে পারি না। আবার অনেক সময় টাকা পাঠিয়ে দিয়েও কোনো পণ্য পাই না। টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। পরে আবার বেশি টাকায় ওই পণ্যই আমদের কাছে বিক্রি করেন। এ কারণেই বিশেষ করে বরগুনায় চার্জার ফ্যানের সংকট তৈরি হয়েছে।


জেবি/ আরএইচ/