মোংলায় গরুর খামার করে সফল আমেরিকা প্রবাসী


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, ১১ই জুন ২০২৩


মোংলায় গরুর খামার করে সফল আমেরিকা প্রবাসী
খামারির গরু

অদম্য পরিশ্রম আর সাহসিকতা নিয়ে আমেরিকান প্রবাসী বায়েজিদ শেখ এখন সফল খামারি। মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের গোয়ালীরমেঠ গ্ৰামের আমেরিকা প্রবাসী বায়েজিদ শেখ, শিকড়ের টানে শখ করে উপজেলার গোয়ালীরমেঠ নিজ বাড়িতে, "এ,আর,এ" এগ্ৰো গরুর ফার্ম দিয়ে সফল খামারি ও ব্যবসায়ীর খাতায় নাম লিখেয়েছেন। 


প্রত্যন্ত গ্রামীন জনপদে বসবাস করা বায়েজিদ শেখ ২০০৬ খুলনা সালে বি,এল কলেজে লেখাপড়া শেষে পাড়ি জমান আমেরিকায়। দেশে কিছু একটা করার ইচ্ছা শক্তি থেকেও করা হয়নি। প্রবাসে থেকে সখের বসে নিজ বাড়িতে ২০১৭ সালে ১৫ শতাংশ জমির উপর গড়ে তোলেন এ আর এ, এগ্রো ফার্ম নামে স্বপ্নের পশু পালন খামার। 


প্রথমে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিশিয়ান জাতের একটি গাভী ক্রয় করে খামারের কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে দেশী-বিদেশী জাতের গরুর সংখ্যা ২৬ টি। যার মূল্য ৪০/৫০ লক্ষ টাকা। 


গরুর খামারের পাশাপাশি ছাগলের খামার ও পরিচালনা করেন। তিনি শুধু গরুর খামারই নয়, মাছ চাষ এবং কৃষিতে ও রেখেছেন অসামান্য অবদান। গরুর খামার পরিচালনায় বর্তমানে দেখভালের দাইত্বে আছেন ৫ জন শ্রমিক। সল্প পরিসরের খামারটি আরো বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বায়জিদ শেখ। 


প্রতিবেশীরা বলেন, প্রবাসী বায়েজিদ শেখ একজন সফল খামারি। শখ আর অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে সফলতা এনে দিয়েছে। এলাকায় সফল খামারি হিসেবে বায়েজিদ শেখ এখন অনুকরণীয় বলে জানান স্থানীয় মুদি দোকানদার ইয়ার আলী। সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বায়েজিদ শেখ অত্যন্ত পরিশ্রমি ও বিচক্ষণ একজন খামারি। 


সামনের ঈদুল আযাহা উপলক্ষে খামারের ২৬ টি গরুর মধ্যে ২৩ টি গরু ও দুটি ছাগল বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। আমেরিকা প্রবাসী বায়জিদ শেখ জানান, "এ,আর,এ" এগ্রো খামারে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হয় সেই বর্জ্যকে কাজে লাগানোর জন্য তিনি কিছু প্রজেক্ট হাতে নিতে যাচ্ছেন। এই বর্জ্য থেকে তিনি জৈব সার তৈরির   এছাড়াও গরুর গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদন করার ব্যবস্থা পরিকল্পনা নিচ্ছি। 


যা রান্নাসহ ফার্মের কাজে ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান, তরুণ-যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে বায়জিদ কে উদাহরণ মনে করেন ওই এলাকার প্রবীণরা। তারা বলেন, চাকরির পিছনে হন্যে হয়ে না ছুটে যুবকদের স্বাবলম্বী হতে বায়জিদ কে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। খামার করেই তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। দেশের অর্থনীতিতে তিনি অবদান রাখছেন। 


পাশাপাশি আমিষের অভাব পূরণেও তাঁর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামার ব্যবস্থাপনায় আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে চান। 


বায়জিদ শেখ একজন সফল খামারি হিসেবে শিক্ষিত বেকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা ভাবছেন একজন সফল খামারি বা উদ্যোক্তা হবেন তারা ধৈর্য্যধারণ করে লেগে থাকবেন, তাহলে সফলতা আসবেই। এছাড়া চাকরির পিছনে হন্যে হয়ে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


আরএক্স/