শ্রীনগরে আগাম লাউ চাষে লাভবান কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৩৯ অপরাহ্ন, ১২ই জুন ২০২৩


শ্রীনগরে আগাম লাউ চাষে লাভবান কৃষক
লাউ

সারা বাংলায় লাউ একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমান সময় বছর জুড়েই এর চাষ হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আগাম লাউ চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। মৌসুমী সবজির বাগানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে লাউ চাষ করতে দেখা গেছে। 


স্থানীয় হাটবাজার কিংবা ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতাদের কাছে উৎপাদিত আগাম লাউ পাওয়া যাচ্ছে। তবে লাউ বিক্রি হচ্ছে কিছুটা চড়াদামে। খোলা বাজারে মাঝারি সাইজের লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। 


স্বাদের লাউ কিনতে ক্রেতারা ভিড় জামাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শ্রীনগর সদর এলাকার হরপাড়া, বালাশুর নতুন বাজার খালপাড় ও আড়িয়ল বিল সংলগ্ন শ্যামসিদ্ধি-গাদিঘাটের বিভিন্ন ভিটাসহ বেশ কিছু স্থানে আগাম লাউয়ের পাশাপাশি মৌসুমী শাক-সবজির চাষ করা হচ্ছে। 


বেশীর ভাগ বাগানেই মাচা বিহীনভাবে লাউ চাষ হচ্ছে। বছরের এই সময়ে দেশী হাইব্রিড ও ভিয়েতনামী জাতের লাউ চাষ করছেন স্থানীয়রা। অল্প খরচে এসব জাতের আগাম লাউ চাষে কাঙ্খিত ফলন হওয়ায় অধিক লাভবান হওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এদিনে হালকা সবুজ-সাদা লম্বা ও গোলাকৃতির লাউগুলো দেখতে যেমন সুন্দর এটা খেতেও সুস্বাদু। 


লাউয়ের সিজন না হওয়ায় বজির বাজারে মানুষের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে আগাম লাউ। তবে বাজারে তুলনামূলক ভাবে লাউয়ের মূল্য অনেকাংশে বেশী। তন্তরের পানিয়া এলাকার আল-আমিন জানান, বসতবাড়ির আঙ্গিণায়  লাউয়ের চাষ করছি। 


বাগানের উৎপাদিত লাউ স্থানীয় হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। লাউ চাষ ছাড়াও দেশী জাতের কাগজি লেবুর চাষ করছেন। সবজি চাষ করে বছরে ৩ লাখ টাকা আয় হচ্ছে তার। 


কুকুটিয়া এলাকার উদ্যোক্তা শিমুল বলেন, তিনি ৭০ শতাংশ উঁচু জমিতে ধুন্দলের চাষ করছেন। এরই মধ্যে আগাম লাউয়ের চারা বড় হচ্ছে। তবে অতি খরা ও তাপপ্রবাহে সবজি বাগানে প্রচুর পরিমানে পানি দিয়ে কাঙ্খিত ফলন না পাওয়ার শঙ্কা করছেন। 


শরিবার (১০ জুন) বৃষ্টি মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে। গেল শীতে তার বাগোনের প্রায় ৩ হাজার পিস আগাম লাউ বিক্রি হয়েছে। মুসলিম পাড়া এলাকার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চিচিঙ্গা ও জালি কুমড়ার পাশাপাশি লাউ ক্ষেতি করছি। 


অতি খরায় লাউয়ের ফলন তেমন হচ্ছে না। তবে অন্যান্য মৌসুমী সবজি চাষে সফল হয়েছেন। বাণিজ্যিক আগাম শাক-সবজি চাষে বছরে ১২-১৩ লাখ টাকা আয় হচ্ছে জানান তিনি। 


সদর এলাকার হরপাড়ার কৃষক কাজল মিয়া বলেন, প্রায় ২১ শতাংশ জমিতে মাচা বিহীনভাবে ভিয়েতনামী জাতের আগাম লাউ চাষ করেছেন। লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। লাউয়ের পাশাপাশি লাউয়ের ডগা/শাক বিক্রি করছেন তিনি। আগাম লাউ ক্ষেতি থেকে প্রায় লাখ টাকা আয় হবে। 


তিনি বলেন, সুরেশ্বরী ডাটা, পূঁই শাক, কলমী শাক, লাল শাক, ঢেরশ, আগাম মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছেন।একাজে দুই জন শ্রমিকহ নিজেও সবজির বাগানে কাজ করেন। উৎপাদিত এসব শাক-সবজি শ্রীনগর বাজারে সবজি বিক্রেতাদের পাইকারী দরে বিক্রি করার পাশাপাশী খুচরাভাবেও বিক্রি করেন। 


স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৬ হেক্টর অধিক জমিতে মৌসুমী শাক-সবজি চাষ হয়। উন্নত ফলনশীন জাতের সবজি চাষের জন্য স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।


আরএক্স/