শ্রীনগরে কৃষকের সংরক্ষিত আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:২৩ অপরাহ্ন, ১৪ই জুন ২০২৩


শ্রীনগরে কৃষকের সংরক্ষিত আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা
সংরক্ষিত আলু

শ্রীনগরে হিমাগারে সংরক্ষিত কৃষকের আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা করে। এবার উৎপাদিত আলুর কাঙ্খিত মূল্য পাওয়ায় স্থানীয় কৃষক খুশি। প্রায় এক মাস আগেও হিমাগারে আলুর কেজি কেনাবেচা হয়েছে ৩০ টাকার বেশী। 


মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকাল পর্যন্ত হিমাগারে রাখা ভালো মানের আলুর কেজি বিকিকিনি হয়েছে ২৮ টাকায়। খুচরা বাজারে খাবার আলুর কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকা করে । তবে গেল দুই বছর বিভিন্ন কারণেই এ অঞ্চলের আলু চাষীদের লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে। 


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ২৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়। এর উৎপাদণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬২ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। প্রণোদনা কর্মসূচিতর আওতায় আলু ক্ষেতের প্রদর্শনী ছিল ১০টি। এ বছর আলুর ভরা মৌসুমে অথাৎ আলু উত্তোলনকালীন সময় আলুর বেপারীদের অনুপস্থিতি ও পাইকারী বাজার মূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় প্রান্তিক কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়ে। 


তবে হঠাৎ এক মাসের ব্যবধানে ৪০০ টাকার আলুর প্রতি মণে ৩০০ টাকা মূল্য বৃদ্ধিতে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসতে থাকে। 


বর্তমান বাজার দর হিসেবে কৃষকরা আলুর মণ এখন বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ১১২০ টাকা করে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আলুর রাখার জন্য হিমাগার ভাড়া বাবদ কৃষকের দিতে হচ্ছে ২২০ টাকা। 


আলুর কাঙ্খিত মূল্য পাওয়ায় অর্থের যোগান দিতে হিমাগারে সংরক্ষিত এসব আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। শ্রীনগরে হিমাগারের সংখ্যা মোট ৩টি। আটপাড়া এলাকার শ্রীনগর কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেড ঘুরে দেখা গেছে, হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর বিকিকিনি হচ্ছে। 


কয়েকজন কৃষক ডায়মন্ড জাতের লাল আলু বিক্রি করছেন। বেপারীরা ক্রয়কৃত আলুর বস্তা হিমাগারের শেডের মেঝেতে ঢেলে শোডিং করছেন। এ সময় কয়েকজ শ্রমিক বলেন, বেপারীদের আলু শোডিংয়ের কাজ করে দৈনিক ৫০০ টাকা করে মজুরী পাচ্ছি। হিমাগারের চেম্বার থেকে প্রতিবস্তা আলু বের করতে লেবারা নিচ্ছেন ২২ টাকা। এখানে প্রায় ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। 


সুজন বেপারী, আলম, মামুন, মজিবর, আবুল হোসেন জানান, স্থানীয় বেপারীদের কাছে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। আজ আলুর কেজি ২৮ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। 


মো. জাহাঙ্গীর বেপারী জানান, ১৫ হাজার কেজি আলু কেনা হয়েছে। এসব আলু চট্রগ্রামে আলুর আড়তে পাঠাচ্ছি। 


শ্রীনগর কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেডের ম্যানেজার মো. শিশির আহমেদ জানান, আমাদের এখানে আলুর ধারন ক্ষমতা ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা। 


এ বছর উত্তর বঙ্গের আলু না আসায় আমাদের হিমাগারে ১০ হাজার বস্তা আলু কম রাখা হয়। এ পর্যন্ত হিমাগার থেকে প্রায় ১১ হাজার বস্তা আলু বিক্রি হয়েছে।


আরএক্স/