জলঢাকায় গরুর এলএসডি ও পক্সচাল ভাইরাস রোগে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৫৭ অপরাহ্ন, ১৫ই জুন ২০২৩
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় লাম্বি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। রোগটিকে অনেক কৃষক ও সাধারণ মানুষ বসন্ত বলেও ধারণা করছেন।
মারাত্মক এ রোগটিকে প্রতিরোধে উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিস গাঁট পক্স ভ্যাকসিন দিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। রোগটি মশা বা মাছির মাধ্যমে আক্রান্ত পশু থেকে সুস্থ পশুর কাছে ছড়াচ্ছে। এর সঠিক ভ্যাকসিন না থাকায় বিপাকে পড়ছে ১টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ও কৃষক ।
সঠিক চিকিৎসা না পেলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ ও কৃষক বলে জানাজায়। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্বি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ভয়ঙ্কর রোগ।
জানা গেছে, গবাদি পশুর নতুন একটি রোগ লাম্বি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)। ভাইরাসজনিত এ রোগটি ২০১৯ সালের দিকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রোগটি বর্তমানে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এতে করে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বৈজ্ঞানিক তথ্য মতে, লাম্বি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি গরুর এক ধরনের চর্মরোগ। বিভিন্ন কীটপতঙ্গের মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়। আবার আক্রান্ত গাভির দুধ বাছুর খেলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।গ্রামীণ পশু চিকিৎসকরা জানান, প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগের লক্ষণ হলো জ্বর।
পরে ত্বকের ওপরে বড় মাপের ফোড়া বা গোটা তৈরি হয়। মানুষের জলবসন্ত হলে যেমন হয়, এটা অনেকটা তেমনই। গরুর সমস্ত শরীরে গোটা তৈরি হতে থাকে। এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। এমন ক্ষেত্রে গরুর মৃত্যুর হার বেশী। কিছু কিছু গরুর গলায় ঘা হয় এবং গরুর চামড়ার নিচে পচন ধরে। রোগটি এমনই মারাত্মক সঠিক চিকিৎসা না পেলে আক্রান্ত গরু দুর্বল হয়ে পড়ে।
অনেক গরুর চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ে। এতে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আবার গর্ভবতী গাভির ক্ষেত্রে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের আরজিনা বেগম বলেন, আমার একটি বাছুর গরুর সমস্ত শরীরে গোটার মতো ওঠে।
কিছুদিন পরে গোটাগুলো থেকে গর্ত হতে শুরু করে। একপর্যায়ে সমস্ত শরীরের পশম পড়ে যায়। দেখতে খুব ভয়ঙ্কর লাগে এবং গন্ধে কেউ কাছে যেতে পারছে না। বাছুর গরুটির কষ্ট ও সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছি না। কাঁঠালী ইউনিয়ন খোকা রাম বলেন, আমি জলঢাকা উপজেলা প্রানীসম্পদ হাসপাতালে গেলে আমার গরুর মত শত শত গরু নিয়ে ভির করছে মানুষ প্রাণী সম্পদ অফিসে ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞেস করে জানা যায় সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছি না, সঠিক চিকিৎসা না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: ফেরদৌসুর রহমান বলেন, সরকারী ভাবে এ রোগের কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি এই রোগের কোন চিকিৎসা নাই। তবে আতঙ্কের কারণ নেই। মানুষের যেমন পক্স হয় কিছুদিন পর সুস্থ্য হয় তেমনি গরুরও এটি একটি পক্সচাল এন্টিভাইরাস জনিত রোগ ।
আরএক্স/