রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, ১৮ই জুন ২০২৩


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫
ছবি: জনবাণী

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক অভিযানে অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন।


শনিবার (১৮ জুন) মধ্যরাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার ২৬ নম্বর এবং উখিয়া উপজেলার তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর ও ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক সময়ে এসব অভিযান চালানো হয়।


এপিবিএন জানিয়েছে, গ্রেফতাররা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।


টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) ড. হাসান বারী নুর জানান, ভোর রাতে টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় অপরাধ সংঘটনের উদ্দ্যেশে কতিপয় সশস্ত্র লোকজন অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় সন্দেহজনক এক ব্যক্তি এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশী করে পাওয়া যায় দেশিয় তৈরী একটি বন্দুক।


এতে গ্রেফতার মোহাম্মদ সলিম (২৮) টেকনাফের শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের আব্দুল মতলবের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান এপিবিএন কর্মকর্তা।


এদিকে শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তালিকাভুক্ত ও বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে এপিবিএন বিশেষ অভিযান চালায় বলে জানান ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর।


আরও পড়ুন: ভারতের কদমতলায় ৪ রোহিঙ্গাসহ ৭ বাংলাদেশি আটক


গ্রেফতারকৃতরা হল- উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৯ ব্লকের বাসিন্দা আলী আহম্মদের ছেলে সোনা মিয়া (৫২), একই ক্যাম্পের সি-১ ব্লকের মোহাম্মদ হাসানের ছেলে করিম উল্লাহ (৩২) এবং তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৩ ব্লকের আবুল আলমের ছেলে জানে আলম (৩৭) ও একই ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকের মৃত ফকির আহমেদ এর ছেলে মো. সলিম উল্লাহ (৪২)।


এডিআইজি আমির জাফর বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এপিবিএন এর বিশেষ অভিযানে তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর এবং ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৪ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে উখিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।


জেবি/ আরএইচ/