লাউয়াছড়া বনে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ব্যবস্থা নিতে বলছে রেলওয়ে বিভাগ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:১৩ অপরাহ্ন, ১৯শে জুন ২০২৩


লাউয়াছড়া বনে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ব্যবস্থা নিতে বলছে রেলওয়ে বিভাগ
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনের রেললাইনের পাশে ৪৩ টি ঝুঁকিপূর্ণ গাছ চিহ্নিত করেছে বন বিভাগ ও রেলওয়ে বিভাগ। ঝুঁকিপূর্ণ গাছ গুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রেলওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বন বিভাগকে। তবে বন বিভাগ বলছে এই গাছের মধ্যে কিছু গাছ বিপন্ন প্রজাতির রয়েছে। গাছগুলো কাটা হলে বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


বন মন্ত্রণালয় থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে এটাই করা হবে বলে বন বিভাগ জানিয়েছে। গাছ না কেটে ও রেলপথের কোন ক্ষতি না করে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছেন পরিবেশবাদীরা।


মৌলভীবাজার বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন বিভাগ ও রেলওয়ে বিভাগ মিলে লাউয়াছড়া বনের ৪৩ টি গাছ ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে। এগুলো বিষয়ে বন বিভাগ সিদ্ধান্ত নিবে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ট্রেনের গতি বনের ভেতর ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার রাখার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু এই নিয়ম রেলওয়ে মানছেন না। যদি ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার গতি নিয়ে ট্রেইন চলে তাহলে কোন সমস্যা হবেনা। 


রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, বনায়ন করার সময় রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় রেল লাইনের ৩০ ফুট দূরে এক শাড়ি করে গাছ লাগানোর জন্য বলা হয়। অথচ এই নিয়ম কেউ রক্ষা করেননা। লাউয়াছড়া বনের ভেতর কিছু গাছ একদম লাইনের পাশে থাকায় ও কয়েক শাড়ি গাছ থাকায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে গাছ গুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বন বিভাগকে বলা হয়েছে। বন বিভাগ এই গাছ গুলো না কেটে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমাদের কোন সমস্যা নেই। 


আরও পড়ুন: লাউয়াছড়ায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ


কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, রেলওয়ে বিভাগ রেলের দুই পাশে বনায়ন করার জন্য অনুমতি দেয়। এখন আবার লাউয়াছড়ার বিপন্ন প্রজাতির গাছ গুলো কাটার জন্য বলা হয়েছে। বন বিভাগ ও রেলওয়ে বিভাগ বন ও রেলাইনের ক্ষতি না করে উন্নত দেশের মতো দেয়াল বা বিকল্প চিন্তা করলে কোন সমস্যা হবেনা। এতে বনের প্রাণিগুলোও নিরাপদ থাকবে। 


লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, লাউয়াছড়া বনের ভেতর বন বিভাগ ও রেলওয়ে বিভাগ পরিদর্শন করে ৪৩ টি গাছ ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয় থেকে বন বিভাগের কাছে চিঠি এসেছে। গাছ গুলোর ব্যাপারে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 


শ্রীমঙ্গল রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ গুলজার বলেন, আমার গাছ কাটবোনা। এগুলো কাটার জন্য বন বিভাগকে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নিবে।


জেবি/ আরএইচ/