শ্রীনগরে চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি কোরবানির পশুর


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৩১ অপরাহ্ন, ১৯শে জুন ২০২৩


শ্রীনগরে চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি কোরবানির পশুর
ছবি: জনবাণী

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে স্থানীয় খামারীরা তাদের গরু-ছাগল বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মধ্যে কোরবানির পশু কেনাবেচায় হাটগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে। 


এ বছর এই উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ধরা হচ্ছে ৯ হাজার ৬০০ থেকে ৯ হাজার ৭০০টি। কিন্তু উপজেলায় কোরবানির পশু চাহিদার তুলনায় যোগানের পরিমান বেশি। 


প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলা প্রশাসন অস্থায়ীভাবে ৫ টি পশু কেনাবেচার হাটের ইজারা দিয়েছেন। হাটগুলোর মধ্যে বাঘড়া বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর পাড়ে ১ টি, ভাগ্যকুল স্কুল মাঠে ১ টি কামারগাঁও কেদারপুরে ১ টি, বেলতলী স্কুল মাঠে ১ টি, বাড়ৈখালীর শিবরামপুরে ১ টি। 


এছাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেউলভোগ নিয়মিত পশুর হাটেও কোরবানির গরু-ছাগল বিকিকিনি হবে। 


এসব পশুর হাটে দুরদুরান্ত থেকে বেপারীরা গরু-ছাগল আনতে শুরু করেছেন। জানিয়েছেন হাট ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, আগামী ২২ জুন থেকে এখানকার পশুর হাটে পুরোদমে কোরবানির গরু-ছাগল বিকিকিনি শুরু হবে। 


অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, সিজনের শেষ মুহুর্তে গরু-ছাগলের বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন থামারিরা।


আরও পড়ুন: দেশে কোরবানির পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


খামারিরা জানান, কাঁচা ঘাস ও ভেজালমুক্ত দানাদার বিভিন্ন শুকনা খাবার দেওয়ার মধ্যে দিয়ে পরম যত্নে গরু লালন-পালন করেছেন। তবে গো-খাদ্যর মূল্য বৃদ্ধির কারণে এসব গবাদি পশু লালন-পালনে হিমশিম থেকে হচ্ছে তাদের। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পালের এসব গরুর-ছাগল কাঙ্খিত মূল্যে বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তারা। 


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রায় বাড়িতেই অল্প পুঁজিতে কৃষক পরিবারগুলো কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য ২-৫ টি করে গরু লালন-পালন করছেন। তবে রাঢ়িখাল, ভাগ্যকুল ও বাঘড়া ইউনিয়নে মিনি খামারের পরিমান বেশি। এসব খামারে দেশি ও বিদেশি জাতের বিভিন্ন ষাঁড় গরু মোটা তাজাকরণ করা হচ্ছে। 


উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের টুনিয়ামান্দ্রা গ্রামের খামারি আলম খান নিজস্ব খামারে প্রস্তুত করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের প্রায় ১৫শ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় গরু। ষাড়টির নাম রাখা হয়েছে বিক্রম রাজা। 


ধারণা করা হচ্ছে, বিক্রম রাজাই শ্রীনগর উপজেলার সেরার তালিকায় এগিয়ে আছে। উপজেলায় অনুষ্ঠিত পশু মেলা প্রদর্শনীতেও বিক্রম রাজা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পায়। আসন্ন ঈদে খামারি বিক্রম রাজার দাম হাকাচ্ছেন ৮ লাখ টাকা।


উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩৬শ খামার রয়েছে। এসব খামারে স্থানীয়রা বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগল মোটা তাজাকরণ করেছেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩ হাজার পশু অতিরিক্ত প্রস্তুত করা হয়েছে। গেল বছর উপজেলায় ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরু কোরবানি হয়েছে ৯ হাজার ৮০১টি এবং ছাগল কোরবানি হয়েছে ৩৬৫ টি। কোরবানির পশু সুস্থ ও সবল রাখতে আমরা খামারিদের সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছি।


জেবি/ আরএইচ/