রাজশাহীতে পদ্মার পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ১২ই আগস্ট ২০২৫


রাজশাহীতে পদ্মার পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ছবি সংগৃহীত

পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে চরাঞ্চলগুলো ডুবতে শুরু করেছে। চরবাসী গবাদি পশু ও মালপত্র নিয়ে লোকালয়ে ফিরে আসছেন।


সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় রাজশাহী পয়েন্টে সীমান্তে পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার। রাজশাহীতে বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার হওয়ায় পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী পয়েন্টে পানির উচ্চতা বেড়েছে ০.১৭ মিটার।


পানি বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে টি-বাঁধ পরিদর্শন বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীদের সরে যেতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। বর্তমানে বিপৎসীমার মাত্র ০.৬৬ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।


পাউবো সূত্র জানায়, রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ১৩ মিটার, সন্ধ্যায় তা বেড়ে হয় ১৭ দশমিক ২২ মিটার। সোমবার সকাল ৬টায় উচ্চতা দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৩২ মিটার এবং সন্ধ্যায় হয় ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার।


গত ২৪ জুলাই থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। সেদিন উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩৫ মিটার। পরবর্তীতে কিছুটা কমলেও ৩১ জুলাই থেকে আবারও বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। ফলে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরবাসী গবাদি পশুসহ লোকালয়ে চলে আসছেন।


এতে রাজশাহী সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতলি ইউনিয়নের ১ হাজার ১০০ পরিবার, শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ২ হাজার, উজিরপুর ইউনিয়নের ৪৫০ এবং দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।


সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে দেখা যায়, তালাইমারী, বাজে কাজলা ও পঞ্চবটি এলাকার শিক্ষার্থীরা হাঁটু পর্যন্ত পানির মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।


চর খিদিরপুরের বাসিন্দা করীম বলেন, ‘পদ্মার পানি বেড়ে জেগে ওঠা চরগুলো ডুবে গেছে। ফলে মানুষ ও গবাদি পশু লোকালয়ে চলে এসেছে। এতে গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।’


আরেক বাসিন্দা জানান, ‘প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। মালপত্র নৌকায় করে লোকালয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ ভাড়া বাসায় উঠছেন। গবাদি পশু থাকা পরিবারগুলো বেশি সমস্যায় পড়ছেন।’


রাজশাহীর পবা উপজেলার ৮ নম্বর হরিয়ান ইউনিয়নের এক মেম্বার বলেন, ‘অনেক চর ডুবে গেছে, পানি অনেকের বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছেছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে গবাদি পশুর জন্য। অনেকেই লোকালয়ে নিয়ে এসেছে, আবার অনেক পশু এখনও চরে রয়েছে।’


পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, ‘রাজশাহীতে পদ্মার বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। সোমবার সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার।’

এসএ/