শিশুর মাম্পস হলে কী করবেন?
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০২:২৬ অপরাহ্ন, ১৯শে জুন ২০২৩
ডা. হারুন আল মাকসুদ: মাম্পস শিশুদের একটি পরিচিত সংক্রামক ব্যাধি। ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। প্যারামিক্সো ভাইরাস শ্রেণির অন্তর্গত আরএনএ ভাইরাসে এ রোগ হয়। প্যারোটিড গ্রন্থি ফোলার দুই দিন আগে থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত রোগী এর জীবাণু ছড়াতে সক্ষম থাকে।
আরও পড়ুন: গরমে যেসব অসুখ বিসুখ হয়: ডা. হারুন আল মাকসুদ
তবে এ রোগের কোনো বাহক থাকে না। এটা বেশি ঘটে শীতের শেষ ও বসন্তকালে। মাম্পস মূলত ছড়ায় আক্রান্ত রোগীর সরাসরি সংস্পর্শ, কাশি–হাঁচি কিংবা লালা-প্রস্রাব ইত্যাদির মাধ্যমে।
লক্ষণ:
শরীরে রোগের জীবাণু প্রবেশের ১২-২৫ দিনের মাথায় উপসর্গ দেখা দেয়। শুরুতে জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, বমি ও বমি ভাব দেখা দেয়। এ সময় খিদেও লোপ পায়।
মাম্পসের প্রধান লক্ষণ হলো এক পাশে প্যারোটিক লালাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শিশুর এভাবেই মাম্পস দেখা যায়। প্যারোটিড লালাগ্রন্থি ফোলার কারণে কানের সামনের ডান ও চোয়ালের উপরিভাগের অংশটি থাকে ফোলা, যা কখনো কখনো কানের লতিকে পেছনের দিকে ঠেলে রাখে। শিশুর খাবার গিলতে ও চিবোতে সমস্যা দেখা দেয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অন্য পাশের প্যারোটিড গ্ল্যান্ডও ফোলে। পরে ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে লালাগ্রন্থি ফোলা কমে আসে।
জটিলতা:
মাম্পসজনিত জটিলতার অন্যতম মেনিনজাইটিস। তবে এ জটিলতা তুলনামূলকভাবে মৃদু প্রকৃতির। কিন্তু মাম্পসজনিত সমস্যায় মস্তিষ্কে প্রদাহ বা অ্যানকেফালাইটিস হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। এখানে প্রধান লক্ষণ হলো তীব্র শিরঃপীড়া, আলোর দিকে তাকাতে না পারা ও ঘাড়ে শক্ত ভাব।
লেখক: ডা. হারুন আল মাকসুদ, রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।