বাগেরহাটে ভূমিদস্যুর অত্যাচার থেকে বাঁচতে মানববন্ধন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, ২০শে জুন ২০২৩


বাগেরহাটে ভূমিদস্যুর অত্যাচার থেকে বাঁচতে মানববন্ধন
ছবি: জনবাণী

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বারুইখালি এলাকায় প্রভাবশালী এক ভূমি দস্যুর অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। 


মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার বারুইখালী মোড় এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 


মানববন্ধনে ভূমিদস্যু দ্বারা অত্যাচারের শিকার ব্যাক্তিরাসহ এলাকার শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। 


এ সময় প্রভাবশালী ওই ব্যাক্তির অত্যাচার থেকে বাঁচতে ও তার বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে। 


নির্যাতনের শিকার শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো. নয়ন শেখ বলেন, আমার ক্রয়কৃত ৪১ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে রেখেছে এলাকার চিহ্নিত ভূমি দস্যু রাকিব খান। বিষয়টি নিয়ে কচুয়া বাজার এলাকায় রাকিব খানের প্রেরিত সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর হামলা চালিয়ে আমাকে মারপিট করে। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে রাকিব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে অত্যাচার নির্যাচনের শিকার হয়নি এমন লোক খুজে পাওয়া যায় না। প্রভাবশালী রাকিব খান ব্যবসার কারণে ঢাকায় থাকেন। তার টাকা ও ক্ষমতার বলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নির্যাতিত ব্যাক্তিরা। থানা পুলিশে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। 


নির্যাতনের শিকার আলতাফ পাইক বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে এলাকায় একটি ছুরির ঘটনায় রাকিব জড়িত ছিলো। ওই ঘটনায় আমি বাদী হওয়ার কারণে সম্প্রতি রাকিব খানের ছোট ভাই রিপন খান আমাকে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি। অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করে নাই। 


আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হামলায় আ. লীগ নেতা নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার দুই


শারমিন বেগম নামের এক নারী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবা অন্যের কিছু জমি লিজ নিয়ে একটি ঘের করতো। কিন্তু রাকিব খান ওই জমি থেকে আমার বাবা কৌশলে উচ্ছেদ করে ঘেরটি দখল করে নেয়। আমাদের পরিবারের আয়ের উৎস ছিলো ওই ঘেরটি, যেটা হারিয়ে আমরা পথে বসে গেছি। রাকিব খান তো অনেক টাকা পয়সার মালিক তার ক্ষমতার কাছে আমরা অসহায়। তাই আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি। 


এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাকিব খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো করা হচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমি কারও জায়গা জমি জোর করে দখল করি নাই বা কাউকে মারপিটও করি নাই। যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে তারা কেউ আমার এলাকার বাসিন্দা নয়। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হে প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ করছে। 


কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, বারুইখালী এলাকায় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ ও মারপিটের ঘটনায় উভায় পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


জেবি/ আরএইচ/