ডিস ব্যবসায়ী সোহেল হত্যা: আট জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:০৬ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩
ছয় বছর আগে পুর্ব শত্রুতার জেরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সোহেল প্রধান নামে এক ডিস লাইন ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল- ৩ এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কামাল মোল্লা, জালাল মোল্লা, বিল্লাল মোল্লা, হারুন মোল্লা, মহসিন মোল্লা, আমির হোসেন, জাকির হোসেন,জাবের হোসেন। এদের মধ্যে আমির হোসেন, জাকির হোসেন,জাবের হোসেন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না অপর ১২ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ জুলাই
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সোহেল প্রধান (২৬) মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন টেংগারচর গ্রামের অসুস্থ্য পিতা নাছির উদ্দিন প্রধানের বড় ছেলে। গ্রাম্য দলাদলির রেশ ধরে পূর্ব শত্রুতার কারনে আসামিরা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোহেলকে খুন করার উদ্দেশ্যে ঢাকার মিরপুর ১ নম্বর গোল চত্বর থেকে ২০১৭ সালের ৫ মে রাত ৯ টার দিকে অপহরন করে। এসময় তারা সোহেলকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে ১টি সাদা গাড়ীতে করে টেংগারচর গ্রামের আসামি কামাল মোল্লার বাড়ীর সামনে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে পাশের ভুট্টা ক্ষেতের ভেতরে নিয়ে লোহার হাতুরী, লোহার চোকা রড, লোহার পাইপ ইত্যাদি অস্ত্র দিয়া উপর্যুপরি আঘাত করে। সোহেল মরে গেছে ভেবে টেংগারচর থেকে আসামিরা সোহেলকে সিএনজিতে করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে টহল পুলিশের গাড়ীর আওয়াজ পেয়ে তড়িঘড়ি করে গুরুতর আহত সোহেলকে জামালদি ব্রাক অফিসের পাশে ফেলে দিয়ে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। টহল পুলিশ আহত সোহেলকে উদ্ধার করে গজারিয়া (ভবেরচর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যায়।
আরও পড়ুন: আশরাফসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
সেখানকার ডাক্তারের নির্দেশমতে সোহেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে নিয়া গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সোহেল কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়া মৃত ঘোষনা করেন। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্সেও সোহেল তার ভাই সহ আত্মীয়স্বজনদেরকে আসামীদের নাম ও ঘটনা বলেন।
এ ঘটনায় সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীদের মধ্যে ৩ জন আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
জেবি/এসবি