জামায়াত সেক্রেটারি আরো এক মামলায় গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:২০ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারকে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় ২০২১ সালের এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এর আগে পল্টন থানার এ মামলায় গত ১৩ জুন তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. সালাহ উদ্দিন কাদের। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
এদিন আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন,আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন। এসময় তারা আসামিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর বিরোধিতা করেন।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার দেখানোর আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী (রুমাম শেখ) ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১২ টার সময় মুসল্লিগণের সাথে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে যায়। ফরজ নামার শেষে বাদী মসজিদের ভিতরে উশৃঙ্খল ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের জুতা প্রদর্শনসহ নানা ধরনের রাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান দিতে দেখেন। ওই দিন জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে মসজিদের বাহিরে উত্তর গেটের সিড়িতে কয়েক হাজার হেফাজত ও জামাত-শিবির-বিএনপি কর্মীদের উশৃঙ্খল জমায়েত দেখেন। তাদের স্লোগান ও কথোপকথনে বাদী জানতে পারেন হেফাজত ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় জামাত-শিবির-বিএনপি-হেফাজত নেতৃবৃন্ধ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশী বিদেশী সরকার প্রধান ও রাষ্ট্র প্রধানদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিকে বানচাল করা ও ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে। এসময় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত হয়ে বাদীসহ সাধারণ মুসল্লিগণের উপর অতর্কিত হামলা করে।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারি তিনদিনের রিমান্ডে
পরবর্তীতে উপরোক্ত আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে মিছিলসহ অগ্রসর হয়। কিন্তু উপস্থিত মুসুল্লী ও জনতার শক্ত প্রতিরোধে মুখে তারা পিছু হটেন এবং আসামি মাওলানা লোকমান হাকিম(যুগ্ম-মহাসচিব) বাদীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিন গেইটে থাকা মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে জোট করার সম্ভাবনা আছে: ফয়জুল করীম
আসামি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার এই মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং তার নির্দেশে হেফাজতের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া গেছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং মামলার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আসামি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার (৬৩) কে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো একান্ত প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়। সেই থেকে কারাগারে আটক আছেন তিনি।
জেবি/এসবি