শিশু-কিশোররাই আগামির শ্যামল, সুন্দর বাংলাদেশ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শিশু-কিশোররাই আগামির শ্যামল, সুন্দর বাংলাদেশ

একটা সময় ছিল শিশু-কিশোররা অবসর কাটাত বই পড়ে, মাঠে খেলে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমান সংস্কৃতি-সভ্যতার চর্চাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এগুলোর জায়গা দখল করে আছে অনলাইনভিত্তিক গেমগুলো। আজকাল লক্ষ করা যায়, প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, এমনকি অনার্সপড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণেরাও অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন; যা এখন শুধু একটি নেশা নয়, মানসিক সমস্যায়ও পরিণত হয়েছে। এই নেশা বা আসক্তির পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজ ১১তম সংশোধিত সংস্করণে গেমিং অ্যাডিকশন’কে এক মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা হিসেবে গ্রহণ করেছে ২০১৮ সালের জুনে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে প্রকাশিতব্য আইসিডি-১১ শীর্ষক রোগনির্ণয় গাইড বুকে এটি সংযুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ বলা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই অনলাইন গেম, মুঠোফোন, কম্পিউটার বা ভিডিও গেমের ক্ষতিকর ব্যবহারকে রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাই শিশু-কিশোরদের মানসিক শারিরিক বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলার বিকল্প নেই। তারা পড়ার টেবিলে পড়াশোনা করবে আর মাঠে করবে খেলাধুলা, এটাই স্বাভাবিক। একসময় গ্রামের শিশু-কিশোররা শহরের তুলনায় অনেক কষ্টে, রাতের বেলা লন্ঠনের আলোয় পড়াশোনা করেছে। এখন গ্রামে বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করছে শিক্ষার্থীরা। গ্রামে থ্রিজি, ফোরজি ইন্টারনেট সুবিধার পাশাপাশি শারিরিক বিকাশের জন্য অতি দরকারী খেলাধূলাও করতে পারছে খোলা মাঠে, বিশুদ্ধ খোলা হাওয়ায়। অপরদিকে, শহরের শিশু-কিশোররা থ্রিজি, ফোরজি ইন্টারনেট সুবিধা থাকা দামী মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ নিয়ে পড়ার সময় কাটছে, একইভাবে কাটছে খেলার সময়ও। 

বিশেষ করে শহরের শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠ নেই। তারা মাঠে খেলার ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলা খেলছে মোবাইল, ল্যাপটপে। খেলছে শোফায় বসে, বিছানায় শুয়ে শুয়ে। যে বয়সে ছোটবেলায় আমরা পাড়ার খালি জায়গাকে মাঠ বানিয়ে ফুটবল খেলে শরীরের ঘাম ঝরিয়েছি দৌঁড়াতে- দৌঁড়াতে, বৃষ্টিতে ভিজে এ বাড়ি ও বাড়িতে গিয়ে আম কুঁড়িয়েছি। আজকের কিশোররা কি সেভাবে পারছে?তিন-চার দশক আগে আমরা পাড়ার যে খালি জায়গাকে খেলার মাঠ বানিয়েছিলাম, সে জায়গায় এখন ইট, বালু, পাথরের বানানো একতলা কিংবা বহুতল ভবন। এ মাঠগুলোতে খেলার বয়সী শিশু-কিশোররা প্রতিটি এলাকায় বেড়ে উঠছে বছরের পর বছর। তা তখনও ছিল, এখনো আছে। এখন শুধু নেই খেলার মাঠগুলো। আমরা এখন নিজেকে নিয়ে, নিজের নিয়ে বড্ড সচেতন হচ্ছি, আত্মবিশ্বাস খুইয়েছি, তাই চারদিকে শুধু আত্মবিশ্বাস পরস্পর সীমানা দেয়াল করে একে অপরের কাছ থেকে আলাদা হচ্ছি প্রতিনিয়ত। আগে যেখানে দুটো বাড়ির উঠোন মিলে ছোট একটি খেলার মাঠ হতো, সীমানা প্রাচীর সেখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে দূরে ঠেলে দিচ্ছে পরস্পরকে। শহরতলীতে এবং শহরের অনেক এলাকায় ছোট বড় অনেক পরিত্যক্ত জায়গা ছিল, যা পাড়ার কিশোররা খেলাধূলা করতো, ব্যবহৃত হতো খেলার মাঠ হিসেবে। এমনকি শহর এবং শহরতলীতে জায়গার চাহিদা এবং মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে সে জায়গাগুলো এক ইঞ্চি পরিমান অযত্নে ফেলে রাখতে চায় না কেউ। সীমানা দেয়াল তুলে বাড়ি বানিয়ে বা বাণিজ্যিক ভবন করে আয়ের উৎস তৈরী করছে। ফলে ছোট ছোট খেলার মাঠগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় শহরের, শহরতলীর শিশু-কিশোররা বাড়ির ভেতর বদ্ধ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপে অনলাইন গেইম নিয়ে পড়ে আছে। সুস্থ শারিরিক, মানসিক বিকাশ তো হচ্ছেইনা বরং কিশোররা পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ নানান ধরনের গেইমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। 

এ কয়েক দশকে আমাদের চোখের সামনে অনেক ছোট ছোট খেলার মাঠ হারিয়ে গেছে। যে মাঠগুলো দখল করে নিয়েছে বহুতল আবাসিক ভবন বা বাণিজ্যিক ভবন।

সিলেট প্রবাসী বহুল অঞ্চল। আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া থেকে এসে বলেন সেখানে নির্দিষ্ট সীমানা পর পর পার্ক, খেলার মাঠ রয়েছে। সেখানে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ বিকেলে বা অবসরে হাঁটাহাঁটি করেন, খেলা করেন। সেখানে সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা মাফিক বানানো বাড়িঘর, রাস্তাঘাটের সাথে আমাদের তুলনা চলেনা, তুলনা করাও বোকামি হবে নিঃসন্দেহে। আমরা আমাদের অবস্থান, সামাজিক প্রেক্ষাপটের হিসেবে আমাদের প্রিয় শহর, শহরতলীকে সাজাচ্ছি ক্রমান্নয়ে। আমাদের শিশু-কিশোরদের সুস্থ মানসিক ও শারিরিক স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি আমরা অভিভাবকরা যাপিত জীবনের কর্মব্যস্ততায় ভুলে যাচ্ছি, অবহেলা করছি। শহরের মানষের জীবনমান বৃদ্ধি, শহরের শ্রীবৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্বও আমাদের সকলের। নগর উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ নগরবাসী, পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। আমরা নিজের জায়গা হলেই অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র বাড়িঘর, বাণিজ্যিক ভবন স্থাপনা তৈরী করে ফেলছি। এখনো যেটুকু খালি জায়গা আছে, অব্যবহৃত আছে সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যেগে কিছু করা যায় কিনা ভেবে দেখা সময়ের দাবী। এ ব্যাপারে যত কালক্ষেপন করবো ততই হয়তো হারিয়ে ফেলবো মাঠ করার উপযুক্ত স্থান। অদূর ভবিষ্যতে সে জায়গায় হয়তো গড়ে উঠবে আরো নতুন কোন সুরম্য অট্টালিকা, বহুতল ভবন। খেলার মাঠের অভাবে আমাদের শিশু-কিশোররা এমনিতে বাড়ির উঠোন, বারান্দাতেই বন্দি থাকছে। 

তার উপর দু’বছর ধরে মহামারী করোনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে অভিভাবকরা বাড়ির বাইরে যেখানে সেখানে বেরুতেও দিচ্ছেননা সন্তানদের। করোনার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষার জন্য দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ ছিল অনেকদিন। মাঝখানে কিছুদিন খুলেছিল, বার্ষিক পরীক্ষা, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষাও হয়েছে। এখন আবারো করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের থাবায় সংক্রমন বেড়েছে এবং আবারো সাময়িক বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। অসহায় শিশু-কিশোররা আবারো সেই গওবাঁধা নিয়মে পড়ে যাচ্ছে। দিনে দু’এক ঘন্টা অনলাইন ক্লাশ আর সারাদিন মোবাইল, ল্যাপটপে অনলাইন গেইম, ইউটিউব। খেলার মাঠ নেই শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও। দীর্ঘদিন আগে প্রতিষ্ঠিত হাতেগুনা কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া বর্তমানে শহরের অধিকাংশ স্কুল কলেজগুলো গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন কেন্দ্রিক। খেলার মাঠ নেই, গাড়ি পার্কিং এর জায়গা নেই, কোন রকম একটি ভবন হলেই বিশাল সাইনবোর্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, খেলার মাঠের অভাবে বাড়িতে বসে অলস সময় কাটানো এবং কোভিড-১৯ এর সংক্রমন এড়াতে নানান বিধি নিষেধের কারনে ঘরে বন্দী থাকা শিশু-কিশোরদের প্রকৃত মানসিক বিকাশ তো ঘটছেইনা বরং অনলাইনে হানাহানি, মারামারি ধরনের গেইমের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবে কিশোররা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোরদের জনপ্রিয় অনলাইন গেইম পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ বিভিন্ন গেইমগুলোতে শিক্ষণীয় কোন কিছুই নেই। আছে কেবল বিভিন্ন অস্ত্রের দ্বারা শত্রুকে কিভাবে পরাস্ত করা যায়, হত্যা করা যায় সে সব কিছু। এসব অনলাইন গেইমগুলোর কুফল অনুধাবন করে এ গেইমগুলো বন্ধ করা হবে শুনে সচেতন অভিবাবকরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু, সে গেইমগুলোও চালু রয়েছে, খেলছে কিশোররাও। 

তাই তথ্য প্রযুক্তির উন্মুক্ত হাওয়ায় এসব গেইমগুলো, নিষিদ্ধ ক্ষতিকর ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি শিক্ষণীয়, রুচিশীল কিছু গেইম, ওয়েবসাইট নির্মান করা এখন জরুরী। তথ্য প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই আমাদের দেশ, আমাদের তথ্য প্রযুক্তিবিদরাও। তাঁরা চমকপ্রদ অনেককিছু প্রতিনিয়ত আবিস্কার করে চলছেন। তাঁদের সফল উদ্যোগেই কেবল পারে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত অনলাইন গেইম আসক্ত কিশোরদের শিক্ষণীয়, আর্কষণীয় নতন কোন গেইম, ওয়েবসাইটে ফিরিয়ে আনতে। সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোর অপরাধীদের দ্বারা সংঘটিত অনেক গুরুতর অপরাধ লক্ষ্য করা গেছে অনেক সময়। কিশোর অপরাধের বিষয়ে গত কয়েক বছরে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ, প্রতিবেদনের সমীক্ষায় তা পরিস্কার জানা যায়। গত ২৯ জানুয়ারি স্বনামধন্য দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাবে পাবজি আসক্ত ১৪ বছর বয়সী মানসিক সমস্যাগ্রস্ত এক কিশোর তার মা ও তিন ভাইবোনকে গুলি করে হত্যা করেছে।মাঠের অভাবে শিশু-কিশোররা বাড়ির ভেতর ছোট করিডোরে, বারান্দায়, বাড়ির উঠোনে খেলার চেষ্টা করছে। মাঠে খেলার আঞ্চলিক অনেক ধরনের খেলার নামই জানেনা, খেলার মাঠ সম্পর্কে অনেক শিশু-কিশোরদের কোনো ধারনাই নেই। কেবল কৃত্রিম খেলনা, ভার্চুয়াল গেইমে অভ্যস্ত তারা খেলার মাঠের মাটির স্পর্শ পায়না। প্রকৃতি তাদের কাছে ফ্রেমে বাঁধানো কোন চিত্রকর্ম। বাড়িতে শুধু ভাইবোন বা একা একা থাকতে থাকতে শিশু-কিশোররা সামাজিক বন্ধন কি সেটা তারা শিখতে পারছেনা। সামাজিক আচার আচরণ অনেক কিছুর শিক্ষা তারা পাচ্ছেনা বলে চিন্তিত অধিকাংশ সচেতন অভিভাবক। আজকের শিশুই যদি আগামি দিনের ভবিষ্যৎ হয়, তবে যা কিছু ভালো সেসব কিছু আজকের শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে দিতে হবে। 

এছাড়াও সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া বা সাইবার জগতের অপরাধে জড়িয়ে আইনি ঝামেলায় পড়ে যেতে পারে। ইন্টারনেট বা গেমের বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে আচরণ পরিবর্তিত হয়ে যায়, আচরণে আগ্রাসী ভাব দেখা দেবে। অল্পতেই রেগে যাবে। কখনো নিজের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বা অপরকে আঘাত অথবা হত্যা করার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে। কিন্ত এসব থেকে রক্ষার জন্য আমাদের যা করতে হবে, তা হলো:ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত না হলে, ইন্টারনেট সংযোগ বা ব্যক্তিগত মুঠোফোন নয়। সে নিজেকে কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম, তা আগে বিবেচনা করতে হবে।। গ্যাজেট আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিলে তার একটি সময়সীমা বেঁধে দিন। সন্তানের সঙ্গে চুক্তিতে আসুন, যাতে নিয়মগুলো পালন করে। সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করুন। বাসার ডেস্কটপ কম্পিউটারটি প্রকাশ্য স্থানে রাখুন। শিশু যাতে আপনার সামনে মুঠোফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যবহার করে, সেদিকে গুরুত্ব দিন।নিরাপত্তামূলক অনেক সফটওয়্যার আছে। সেগুলো ব্যবহার করুন, যাতে আপনার বাসার সংযোগ থেকে কোনো নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা না যায়। এ বিষয়ে আপনার ইন্টারনেট সংযোগদাতা বা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন।সন্তান প্রযুক্তিতে অতি দক্ষ এই ভেবে আত্মতৃপ্তি পাবেন না। তার বয়সটি প্রযুক্তির উপযোগী হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। শিশুকে গুণগত সময় দিন। মা-বাবা নিজেরাও যদি প্রযুক্তির প্রতি আসক্ত থাকেন, তবে সবার আগে নিজের আসক্তি দূর করুন। পরিবারের সবাই মিলে বাসায় ক্যারম, লুডু, দাবা, মনোপলি ইত্যাদি খেলার চর্চা করুন। নিয়ম করে সবাই মিলে বেড়াতে যান। মাঠের খেলার প্রতি উৎসাহ দিন।

ইন্টারনেট বা গেম আসক্তি কিন্তু মাদকাসক্তির মতোই একটি সমস্যা। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে এই আসক্তি দূর করুন। আমাদের মনে রাখতে হবে  আজকের যোগ্য শিশুদের হাত দিয়েই নির্মান হবে আগামির শ্যামল, সুন্দর বাংলাদেশ।

লেখক: র