ঈদ সামনে রেখে প্রস্তুত বেড়ার ৩৯ হাজার কোরবানির পশু
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:২৬ অপরাহ্ন, ২৪শে জুন ২০২৩
আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গবাদিপশু - সমৃদ্ধ পাবনার বেড়া উপজেলার খামারিরা। বিগত দিনে গরু গুলো কোরবানির জন্য উপযুক্ত করে তুলেছেন এ এলাকার খামারিরা। অতি যত্নে এসব গরুর পেছনে অর্থ এবং শ্রম দুটোই ব্যয় করেছেন তারা।
সরেজমিনে বিভিন্ন খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এ বছর সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করণ শুরু করেছেন তারা। এক সময় নিয়মিত খামারিদের পাশাপাশি কিছু মৌসুমী খামারি মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে দ্রুত গরু মোটাতাজা করতেন । কিন্তু প্রাণিসম্পদ বিভাগের তৎপরতায় কয়েক বছর ধরে সবুজ ঘাস, ধানের খড় এবং বিভিন্ন ধরনের খৈল– ভুসিসহ কিছু ভিটামিন খাইয়ে সম্পূর্ণ দেশি পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে।
উপজেলার চর সাঁড়াশিয়া গ্রামের খামারি নূরুল দর্জি জানান , এ বছর তার ফার্মে দেশীয় পদ্ধতিতে কাঁচা ঘাস ও ছোলা খাইয়ে ১০ টি ষাঁড় গরু প্রস্তুত করেছেন । তার ফার্মে সর্বনিম্ন দেড় থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ষাঁড় গরু রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমান গো- খাদ্যের মূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় গরু লালন -পালন করে কেউ লাভবান নয়। তার উপর আবার আমাদের চরাঞ্চলে সম্প্রতি যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি খামারিই লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন
পার্শ্ববর্তী চর নাগদাহ গ্রামের খামারি রফিকুল ইসলাম জানান , তার খামারে চারটি গরু প্রস্তুত করেছেন। প্রতিটি গরু বিক্রি হবে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে , বর্তমান উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ পেশায় জড়িত আছেন । খামারি ছাড়াও উপজেলার সাধারণ কৃষকরা বাড়তি আয়ের আশায় কোরবানি ঈদকে ঘিরে বাড়িতে দু' একটি গবাদিপশু লালন -পালন করে থাকেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ১'শ ৮০টি পশু । তবে খামারি এবং প্রান্তিক কৃষক মিলে ঈদকে সামনে রেখে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ প্রায় ৩৮ হাজার ৩শ' ৬০ টি পশু প্রস্তুত করেছেন। তার মধ্যে গরু ১৯ হাজার ৩' শ, মহিষ ১শ' ৬০ টি, ছাগল এবং ভেড়া মিলে ১৮ হাজার ৯শ' টি। যা লেনদেন হবে প্রায় ১'শ ৮০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পাবনা শহরের হামিদ রোডে যানজটে জন দুর্ভোগ
বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা, মিজানুর রহমান বলেন , কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যেন কোনো পশু মোটাতাজা করা না হয় সে জন্য প্রতিটি খামারকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এবং উপজেলার প্রতিটি স্থায়ী অস্থায়ী পশুর হাটে কেউ যাতে পশুখাদ্যে কোনো প্রকার ভেজাল মেশাতে না পারে সেজন্য প্রতিটি হাটে আমাদের দুটি করে টিম কাজ করবে।
জেবি/এসবি