আগামীকাল চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ

মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে এবারও চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামীকাল বুধবার (২৭ জুন)। 

এ উপলক্ষে জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তরে উপজেলার এসব গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু করে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অর্ধশত গ্রামে অন্তত ২০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে টোরা মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা এএসএম রহমত উল্লাহ।

সাদ্রা দরবার শরীফের বড় পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী আগাম রোজা ও দুই ঈদ সম্পর্কে বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এই তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায়। আর সেই সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছে, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং জিলহজ মাসের তারিখ দেখে আগ থেকেই ঈদুল আজহার তারিখ নির্দিষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন

দরবার শরিফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী জানান, প্রতি বছর জেলার ৪ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা একদিন আগে উদযাপিত হয়। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আমরা বুধবার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও কোরবানির সম্পন্ন করবো ইনশাআল্লাহ।

জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.)-এর অনুসারীরা বিগত ৯৫ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন। পর্যায়ক্রমে চাঁদপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই মতবাদের অনুসারী সংখ্যা বাড়ছে।

জেবি/ আরএইচ/