বর্ষার বৃষ্টিতে রূপ ফিরে পেয়েছে হামহাম জলপ্রপাত
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:২৪ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুলাই ২০২৩
তানভীর চৌধুরী কমলগঞ্জ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। আর তাতে স্বরূপে ফিরেছে হামহাম ঝরনা। পাহাড়ের গা বেয়ে ১৫০ থেকে ১৬০ ফুট ওপর থেকে গড়িয়ে পড়ছে টলটলে স্বচ্ছ জলের ধারা। নির্জন বনের ভেতর এই স্রোতোধারার কলকল শব্দ আবার ডাকছে পর্যটকদের।
হামহাম ঝরনার অবস্থান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কুরমা বন বিটের পাহাড়ি এলাকায়। এটির নাম ও উচ্চতা নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। স্থানীয় বাসিন্দারা একে 'হামহাম ঝরনা' বলে থাকে। কেউ কেউ আবার হাম্মাম' নামে ডাকে। এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত।
সম্প্রতি সেখানে যাওয়া নয়ন ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, শীত মৌসুমে তাঁরা কয়েকজন মিলে হামহাম ঝরনা দেখতে গিয়েছিলেন। তখন খুব একটা পানি না থাকায় তাঁরা হতাশ হয়েছিলেন। সম্প্রতি বৃষ্টি বাড়ায় দুই দিন আগে আবার যান। এবারে তাঁরা ঝরনা দেখে বিমোহিত।
নয়ন ইসলাম জানান, উঁচু-নিচু গহিন অরণ্যের সাত কিলোমিটার ঢিলা, ছড়া ও পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে এই জলপ্রপাত দেখতে যেতে হয়। কমলগঞ্জের একেবারে শেষ গ্রামের নাম: কলাবনপাড়া, যেটি তৈলংবাড়ী নামেও পরিচিত। বলতে গেলে এর পর থেকেই আর তেমন কোনো জনবসতি নেই। আর এখান থেকেই শুরু হয় হামহাম যাওয়ার আসল অ্যাডভেঞ্চার। হামহাম যাওয়ার জন্য বনের ভেতর দুটি পথ আছে। বনের শুরুতেই হাতের ডানে ও বাঁয়ে পাশাপাশি পথ দুটির অবস্থান। একটা দিয়ে যেতে হবে, আরেকটা দিয়ে আসতে হয়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আনিসুর রহমান জানান, গতকাল মৌলভীবাজার জেলার কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও গত ১ জুলাই শ্রীমঙ্গলে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৩৭ মিলিমিটার। কমলগঞ্জে আলাদা কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। তবে গতকাল বিকেলে ইসলামপুর এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। বন বিভাগের কমলগঞ্জ রাজকান্দি রেখা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই বর্ষা মৌসুমে বনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে হামহাম ঝরনায় পানি শীতের চেয়ে দ্বিগুণ পড়ছে। হামহাম পর্যটককেন্দ্রের উন্নয়ন করার জন্য বন বিভাগ থেকে বিভাগীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরএক্স/