দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুমকিতে আওয়ামী লীগের ৭ নেতা বহিষ্কার


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০২ অপরাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৩


দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুমকিতে আওয়ামী লীগের ৭ নেতা বহিষ্কার
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর দুমকিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


বুধবার (৫ জুলাই) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আকন সেলিম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 


চিঠিতে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ নং লেবুখালী ও ৫ নং শ্রীরামপুর ইউনিয়নে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করা এবং দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগে দুমকি উপজেলা আ.লীগ থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


উপজেলা ও ইউনিয়ন আ.লীগ আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় জেলা আ.লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আ. মান্নানের উপস্থিতিতে লেবুখালী ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠনের ৪৭ (১১) ধারায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদেরকে দলের সকল পদপদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়।


বহিস্কৃতরা হলেন, দুমকি উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, সহ-সভাপতি অহিদুর রহমান সহিদ মুন্সী, যুব‌ ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান মোল্লা (জাকির), লেবুখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জলিলুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি মো. ফোরকান আলী মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউনুছ আলী মৃধা ও  শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন হাওলাদার। 


আরও পড়ুন: দুমকিতে ২ ইউপি নির্বাচনে বাবা ছেলেসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহিষ্কৃত নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আমাকে নতুন করে বহিষ্কার করার কিছু নাই। আমিতো দল থেকে আগেই পদত্যাগ করেছি।


বহিষ্কৃত আরেক নেতা মো. ফোরকান আলী মৃধা বলেন, আমাকে কেন বহিষ্কার করা হয়েছে তা বুঝিনা। দল থেকে আমাকে কোন সতর্কবার্তা দেয়া হয়নি। আমার ভাই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এ কারণেই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


মো. ইউনুচ আলী মৃধা বলেন, আমাকে কেন বহিষ্কার করা হলো তা আমার বোধগম্য নয়। আমার চাচা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও কোন সভা সমাবেশ বা প্রচার প্রচারণায় আমি অংশগ্রহণ করিনি। 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেকই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করার ফলে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেমন পরবে বলে মনে হয় না।


জেবি/ আরএইচ/