রাঙ্গামাটির যত দর্শনীয় স্থান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


রাঙ্গামাটির যত দর্শনীয় স্থান

আকাশের মেঘ ছুঁয়ে যায় পাহার এর বুক। চারিদিকে সবুজ এর সমারোহ,আর পাহারে ঘেরা। এ জেলাই রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্তিম হৃদ কপ্তাই লেক। এটাই রাঙ্গামাটি ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা রাঙামাটি। কাপ্তাই লেকের বুকে ভেসে থাকা ছোট্ট এর জেলা শহর আর আশপাশে সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় স্থান। এখানকার জায়গাগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে। তবে বর্ষার সাজ একেবারেই অন্যরূপ।

একইসঙ্গে নৌভ্রমণের আনন্দ:-

সারাদিনের জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করতে হয়। নৌকার চালকই আপনাকে বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখাবে। চাইলে আলাদাভাবেও যেতে পারেন। সকাল সকাল যাত্রা শুরু করাই ভালো। রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে অথবা পর্যটন এলাকা থেকে ট্রলার রিজার্ভ করা যায়। এগুলোর ভাড়া আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে ভাড়া সাধারণত ১২০০-২৫০০ টাকার মধ্যে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা মালিকদের সিন্ডিকেট আছে, দরদাম করে নিতে হবে।

যা দেখবেন :

শুভলং ঝর্ণা:-

রাঙামাটি জেলার সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর মধ্যে শুভলং ঝরনা একটি। এই ঝরনা দেখতে সর্বক্ষণ পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে ঝরনাটি পতিত হয়েছে কাপ্তাই লেকে। শুভলংয়ের কাছে যেতে বাধা নেই, ফলে ঝরনার রূপ মাধুর্য প্রাণভরে উপভোগ করা যায়।

শহর থেকে শুভলং ঝর্ণায় যেতে হলে নৌ পথে যেতে হয়। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার রিজার্ভ করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। শুভলং ঝর্ণা রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার মধ্যে পড়েছে। মূল শহর থেকে শুভলং যেতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মত। শুভলং যেতে হয় কাপ্তাই লেকের উপর দিয়ে। কাপ্তাই লেক দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম লেক।

ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে চান?

রাঙামাটি শহরের দোয়েল চত্বর বা তাবলছড়ি বাজার থেকে সি এন জি নিতে হবে। দোয়েল চত্বর থেকে ভাড়া নেবে ১০০ টাকা এবং তাবলছড়ি থেকে ভাড়া ৫০ টাকা। বর্ষার এই সময়ে ঝুলন্ত ব্রিজের উপর পানি জমে যায়।

রঙরাং পাহাড়:-

রঙরাং পাহাড়ের চূড়ায় না উঠলে রাঙামাটির সৌন্দর্য অপূর্ণ থেকে যাবে। পাহাড়ের কোলঘেঁষে বয়ে গেছে মোহনীয় কর্ণফুলী। কর্ণফুলীর পাশে বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলায় এর অবস্থান। চারপাশের এমন সব সৌন্দর্য চোখের সামনে চলে আসবে যদি রঙরাং চূড়ায় উঠতে পারেন !

ঘাগড়া ঝর্ণা;-

পর্বতপ্রেমী পর্যটকরা আসতে পারেন পাহাড় অরন্যে ঘেরা রাঙামাটির ঘাগড়া ঝর্না অভিমুখে। পাহাড় হ্রদের নিবিড় নৈকট্যে আপনার মনেও সৃষ্টি করতে পারে ভিন্ন এক অনুভুতি। প্রতি বছর বর্ষা এলেই জেগে উঠে পাহাড়ের খাদে লুকিয়ে থাকা ঘাগড়ার এ ঝর্ণাগুলো। পার্বত্য রাঙামাটির বিস্তৃত পাহাড় রাশিতে অসংখ্য ঝর্ণার অন্যতম শহর থেকে মাত্র ৩০ মিনিট এর দূরত্বে অবস্থিত ঘাগড়ার ঝর্ণাগুলো।মৌসুমী এইসব ঝর্নার আয়ুস্কাল ৩-৪ মাস। মূলতঃ বর্ষাকাল জুড়েই প্রবাহিত হয় এইসব ঝর্ণাধারা । এ ঝর্ণা এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় ৫-৬ টি ঝর্ণা।ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকার এ ঝর্ণাটি তেমন পরিচিতি না পেলেও বর্ষা মৌসুম এলে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ঝর্ণাটি দেখতে ভিড় জমায়।বিশালাকৃতির ঘাগড়া ঝর্ণাটি যে মৌসুমী ঝর্ণা বিশ্বাস করতেই যেন মন চায় না। অনেক র্পযটক রাঙামাটি এসেও ঘাগড়া ঝর্না না দেখেই ফিরে যান পর্যাপ্ত তথ্য না পেয়ে। পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের এ ব্যপারে কোনো তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা না করায় ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই ঝর্ণায় বেড়াতে হয় ।

কীভাবে যাবেন?

রাঙামাটি শুভলং ঝর্ণা ছাড়াও আছে ঘাগড়া ঝর্ণা। এটি কলাবাগান হাজাছড়ি নামক স্থানে অবস্থিত। এই ঝর্ণা মূলত বর্ষাকালেই প্রবাহিত হয়। এই ঝর্ণা এলাকায় ছোট বড় ৫-৬ টি ঝর্ণা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে অনেক পর্যটক এই ঝর্ণাগুলো দেখতে ভিড় জমায়। রাঙামাটি শহর থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে ঘাগড়া ঝর্ণায় যাওয়া যায়। ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা।

জি আই/