২২ বছর আগে মালি হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৩৪ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৩


২২ বছর আগে মালি হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কুর্মিটোলা বিমান বাহিনী এলাকায় নার্সারীর মালি আবুল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।


রবিবার (৯ জুলাই) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদের আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, নার্সারী মালিক মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে লিটন এবং মালি আনোয়ার হোসেন ওরফে আনারুল। এরা পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।


মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আবু হোসেন আসামি মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে বিমান বাহিনীর কুর্মিটোলায় ২২২ এম ইউ সংলগ্ন জায়গায় জমি লীজ নিয়ে একটি নার্সারী করেন। মুস্তাফিজুর রহমান নার্সারীর কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলী, বেতন এবং সব কিছু দেখাশোনা করতেন। ২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৯ টার দিকে মুস্তাফিজুর রহমান হেড মালি আবুল হোসেনকে নার্সারীতে গিয়ে দেখতে পান না। অন্যান্য মালিদের কাছে আবুল হোসেনের কথা জিজ্ঞাসা করেন। 


আরও পড়ুন: ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ডা. সংযুক্ত সাহার বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল হাসপাতালের মামলা


তারা জানায়, আবুল হোসেন তার আত্মীয়কে দেখার জন্য হাসপাতালে গেছেন। এর দুই দিন পর ৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আবুল হোসেনের মৃতদেহ এম ইউ বিল্ডিংয়ের অফিসের পিছনে ম্যান হলের মধ্যে পাওয়া যায়। আবু তাহের সেখানে পৌঁছানোর আগে মুস্তাফিজুর রহমান নার্সারী থেকে পালিয়ে যান। নার্সারির অপর দুই মালি রবিউল ও আনোয়ারকে বিমান বাহিনীর লোক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।


ওই ঘটনায় আবু তাহের ৭ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।  মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। 


২০০৩ সালের ২৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।


জেবি/ আরএইচ/