দুর্নীতির পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২৮ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৩


দুর্নীতির পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন
সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন করার অভিযোগে দুদকের করা পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সাবেকস্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।


রবিবার (৯ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

এর আগে গত ৬ মার্চ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য  আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়।এ টাকা জমা দিলে তাকে পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।এরপর ১৪ মার্চ জমির উদ্দিন সরকার আদালতের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অন্যান্য আদায় খাদে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জমা প্রদান করেন।আদালত এ বিষয় আদেশের জন্য আজ ( ৯ জুলাই) দিন ধার্য করেন।


এর আগে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন।


আরও পড়ুন: নোবেলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ আগস্ট


এতে জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার।


এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।


আরও পড়ুন: ২২ বছর আগে মালি হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড


পরে এ পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগ আমলে নেন আদালত। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমির উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।


এরপর শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন।


পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গঠিত একক বেঞ্চ। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।


জেবি/এসবি