দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০ দিনে ছয় বাংলাদেশি খুন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, ১২ই জুলাই ২০২৩


দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০ দিনে ছয় বাংলাদেশি খুন
ছবি: সংগৃহীত

গত ২০ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গ, ফ্রি স্টেট, ইস্টার্নকেপ, কেপটাউন প্রদেশ ও এলাকাগুলোতে ছয় বাংলাদেশি খুন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার দুই বাংলাদেশি খুন হয়েছে। এছাড়া জুন মাসের শেষ সপ্তাহে চার প্রবাসী দেশটিতে বিভিন্নভাবে অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে।


মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে কেপটাউনের লিডেন ডেল্ফ এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একদল বন্দুকধারী প্রবাসী নাজমুল হোসেনকে গুলি করে ঘটনাস্থলে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।


এর আগে, সোমবার (১০ জুলাই) জোহানসবার্গের পস্তুরাস এলাকায় ডাকাতের গুলিতে শামীম নামের এক বাংলাদেশি খুন হয়েছে। 


প্রবাসীরা জানান, চাঁদা না পেয়ে দোকানের বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা শামীমকে লক্ষ্য করে গুলি করলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। তার দেশের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়।


গত ২৬ জুন ফ্রি স্টেট প্রদেশের বুসাবেলোতে রিগান ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করা হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। তারা ধারণা করছেন, রিগান টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন।


আরও পড়ুন: প্রবাসী আবুল খায়ের হত্যার প্রতিবাদে গণবিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস


তার আগে গত ২৫ জুন রাত সাড়ে ৭টার দিকে ইস্টার্নকেপ প্রভিন্সের স্টেকস্প্রিট শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দোকানে ঢুকে আব্দুল মতিন নামে এক প্রবাসীকে ডাকাত দল গুলি করে হত্যা করে নগদ অর্থ, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। তার দেশের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ওই এলাকায় ব্যবসা করে আসছিলেন।


এছাড়াও গত ২৪ জুন সন্ধ্যার পর জোহানেসবার্গ শহরের ব্রামফন্টেইনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে ডাকাতির সময় বাধা দিতে গেলে মাকসুদুর রহমান মহসিন নামের এক প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার দেশের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় বলে জানা গেছে।


একইদিন সন্ধ্যার পর জোহানেসবারর্গের সুয়েটোতে প্রবীণ বাংলাদেশি, কমিউনিটির পরিচিত মুখ মোহাম্মদ হারুন নিজ দোকানে ডাকাতদের গুলিতে নিহত হন। তার দেশের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাটে।


প্রবাসীদের অপমৃত্যু নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শাখা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কমিউনিটি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিস রহমান জানান, প্রবাসীদের সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে। পরিস্থিতি এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে। মরদেহ দেশে পাঠানো ও মামলা চালানোর জন্য যতটা সম্ভব ভুক্তভোগী প্রবাসীদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।


জেবি/ আরএইচ