ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১২ অপরাহ্ন, ১৯শে জুলাই ২০২৩


ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু
ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু

রেজুয়ান জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে ব্যাপক হারে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। 


প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে খামারি ও কৃষকদের মাঝে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এ রোগে আক্রান্ত গরু সুস্থ হওয়ার পাশাপাশি মারাও যাচ্ছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত গরুর বেশির ভাগই বাছুর। অধিকাংশ গ্রামেই গবাদি পশু এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় খামারি-গৃহস্থসহ সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগে রয়েছেন। 


আক্রান্ত পশু নিয়ে অনেকে ছুটছেন পল্লীচিকিৎসক ও প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে। ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সময় মতো মিলছে না বলেও অভিযোগ অনেকের। লাম্পি স্কিন রোগ এক ধরনের ভাইরাসজনিত এবং ছোঁয়াচে হওয়ায় এক পশু থেকে অন্যটিতে সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে স্থানীয় পশু চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ ও চিকিৎসা নেওয়ার পরেও ভালো না হওয়ায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে ছুঁটছেন। 


অনেক কৃষকেরা বলছেন, গরু নিয়ে গ্রাম থেকে প্রাণি সম্পদ অফিসে গরু নিয়ে আসলেও চিকিৎসকেরা চেকআপ করে প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন, অফিস থেকে কোনে ওষুধ দিচ্ছেন না। বাজারের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। তবে, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্তৃপক্ষ বলছেন এই রোগের ভ্যাকসিন অফিসে নেই।


উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচবিবি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার  গরু লালন পালন করা হচ্ছে খামাড় ও কৃষকের ঘরে। এখানে ছোট বড় খামার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হাজার। বর্তমানে ল্যাম্পি স্কিন রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়ায় চিন্তিত সবাই।


পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা এলাকার মুনু মিয়া বলেন, আমার গ্রামে প্রথম আমার বাছুরের এই রোগ দেখা দিয়েছে। একারনে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে নিয়ে এসেছি ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য।


একই উপজেলার আয়মা জামালপুর এলাকার আব্দুল আলিম বলেন, আমাদের গত এক সপ্তাহে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগে ৩ জনের গরু মারাগেছে।


আয়মারসুলপুর গ্রামের কৃষক ইউনুছ আলী বলেন, রাতের বেলায় ভালো গরু গোয়ালে রেখেছি, সকালে দেখি চামড়ায় প্রথমে গুটি বের হয়ে ফোসকা পড়েছে, পরে জ্বরের কারণে কাঁপুনি ও খাবার ছেড়ে দেওয়ায় দুর্বল হয়ে পরে গরু মারা যাচ্ছে। আমার গ্রামে একজনের গরু মারাগেছে। 


উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো.নীয়ায কাজমীর বলেন, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ মুলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের উপজেলায় যেটির প্রভাব দেখা দিয়েছে সেটি হল ল্যাম্পি স্কিন (এলএসডি) ভাইরাস। এই ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন সরকারি ভাবে এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। 


একরানে আমরা একটু চিন্তিত। তবে, ল্যাম্পি স্কিন গড ফক্সের ভ্যাকসিন দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। তবে বেসরকারি ভাবে কিছু কিছু ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম বেশি। এখন পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ১৫/২০টি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 


আরএক্স/