বিজয়নগরে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় সংঘর্ষে নিহত ১


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, ২০শে জুলাই ২০২৩


বিজয়নগরে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় সংঘর্ষে নিহত ১
ছবি: জনবাণী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় জনগণের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। 


বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর পূর্বপাড়া এ ঘটনা ঘটে। 


নিহত আইয়ুব নূর ভূইয়া (৫৫) উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মৃত মন্তু ভূইয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, সালমা, পিমন, শাবনাজ, শেলিনা ও ইমন মিয়া। এছাড়াও ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। 


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর থানার এসআই সায়েদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরার উদ্দেশ্যে রাত ৩ দিকে এসে নিহত আইয়ুব নূর ভূইয়ার ছেলে ঘরে ডাকাডাকি করে। আসামী ঘরে না থাকায় এবং ঘরে পুরুষ না থাকায় প্রথমে মহিলারা গেইট না খুললেও পরে তাদের ডাকাডাকিতে খুলতে বাধ্য হয়। এসআই সাইদুল ঘরে ঢুকে খোঁজাখুঁজি করে আসামি খুঁজতে উপস্থিত মহিলাদের চাপপ্রয়োগ করে এবং মহিলারা প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। 


নিহত আইয়ুব নূর ভূইয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, উনার ছেলের ঘরে পূত্রবধুদের সাথে পুলিশের খারাপ আচরণ শুনে এগিয়ে গেলে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে গুলি চালায়। এতে পুরুষ মহিলা ও শিশু সহ ৬/৭ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আইয়ুব নূর মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরো ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 


পরিবারের পক্ষ থেকে এসআই সায়েদুলসহ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।


আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ৯টি ও বিজয়নগর উপজেলায় ৫টি অরক্ষিত বধ্যভূমি


স্থানীয় প্রতিবেশি জিল্লু মিয়ার স্ত্রী নেহারা বেগমের টিনের ঘরে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। 


বিজয়নগর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসামী আরিফ ভূইয়া ও নিহত আইয়ুব নূর ভূইয়ার বিরুদ্ধে মাদক, দাঙ্গাসহ ৫ টি করে মামলা রয়েছে। এছাড়াও পলাতক আরেকজন ১১ মামলার আসামী। 


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, ভোরে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


পুলিশ সুপার দৈনিক জনবাণীকে জানান, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি আরিফ ভূঁইয়ার (৩০) নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে ধরতে উপ-পরিদর্শক সাইদুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আদমপুর গ্রামে যায়। পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে পৌঁছে আরিফকে আটকের পরই তার বাড়ির আত্মীয়স্বজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিগে সক্ষম হয়। পুলিশ তাদের আত্মরক্ষার্থে আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে। 


তিনি আরও জানান, আমরা পরে শুনেছি সেখানে একজন লোক নিহত হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


জেবি/ আরএইচ/