আলমের প্রেমের টানে ভারত থেকে ছুটে এলেন কারিশমা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:০৪ অপরাহ্ন, ২৩শে জুলাই ২০২৩
প্রেম মানে না বয়স, প্রেম মানে না ধর্ম, প্রেম মানে না জাতি। তাইতো প্রেমের কাছে বাধা মানেনি দুই দেশের মাঝখানে স্থাপন করা কাঁটাতার।
এবার ভালোবাসার টানে সুনামগঞ্জের প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছেন ভারতীয় কন্যা কারিশমা শেখ (১৯)।
জানা গেছে, তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে কারিশমার পরিচয় হয় সুনামগঞ্জের ছেলে আশরাফুল আলমের সঙ্গে। সেই পরিচয় থেকেই শুরু প্রেম।
এদিকে প্রেমকে পরিণয়ে রুপ দিতে দুই দিনের পথ পাড়ি দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের গোহাটির বালিডাঙ্গা গ্রাম থেকে সুনামগঞ্জে এসেছে কারিশমা। প্রেমের শত বাধা কাটিয়ে অবেশেষে তিন বছরের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে তার।
বৈধভাবে বাংলাদেশ এসে আশরাফুল আলমকে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দুজনে। এতো দূর পরিবার পরিজন ছেড়ে আশরাফুলের বাড়িতে আসায় মানবিক দিক বিবেচনা করে কারিশমাকে মেনে নিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশরাফুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের চরাগাঁও। তিনি ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। বিদেশি বউ গ্রামে আসায় খুশি গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন: এবার প্রেমের টানে পাবনায় মালয়েশিয়ান তরুণী
তরুণী কারিশমা শেখ জানান, তিনি ভারতের আসাম প্রদেশের ডিকেরায় হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তার বাবা আব্দুল কাচিম শেখ এলাকার একটি জামে মসজিদে ইমামতি করেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে কারিশমা শেখ সবার বড়। কাউকে না জানিয়েই বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। গোহাটি হয়ে কলকাতা যান। পরে কলকাতা থেকে বেনাপোল সীমান্তে আসতে দুই দিন সময় লেগেছে তার।
প্রেমিক আশরাফুল আলম জানান, ৩ বছর আগে প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় আমাদের। পরে তার মোবাইল নম্বর নিলাম। এরপর থেকে আমাদের মধ্যে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর থেকেই নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এখন সে বৈধভাবে বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সেখান থেকে আমার বাড়ি নিয়ে এলে প্রথমে পরিবার মানেনি। অনেক বোঝানোর পর সবাই মেনে নিছে। এখন তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়াটাই আমাদের আশা।
এ বিষয়ে ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিলন মিয়া জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে আমার ইউনিয়নে এক ভারতীয় মেয়ে এসেছে শুনেছি। পরে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে তার বৈধতা যাছাই করে দেখলাম তার সব কিছু বৈধ আছে। বৈধভাবে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছে।
জেবি/ আরএইচ/