মদ বিক্রিতে কেরুর রেকর্ড, এক বছরে মদ বিক্রি ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:২৩ অপরাহ্ন, ৪ঠা আগস্ট ২০২৩
কেরুজ ডিষ্টিলারীতে মদ বিক্রিতে রেকর্ড। মদ উৎপাদন বৃদ্ধিতে স্থাপন করা হয়েছে অটো মেশিন। এ অটো মেশিনে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে উৎপাদন শুরু করবে। এতে করে বৃদ্ধি পাবে উৎপাদন। যে কারণে দেশের মদ বিক্রি কেন্দ্র গুলোতে মদের চাহিদা পূরণ করে দ্বিগুনেরো বেশি মুনাফা অর্জনে সক্ষম হবে প্রতিষ্ঠান।
এ প্রতিষ্ঠানটি বরাবরের মত এবারো মদ বিক্রিতে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার মদ বিক্রি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র মদ বিক্রি থেকে লাভ করেছে ১৫৫ কোটি টাকা।
বিক্রির ১৪৫ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব দিয়েও চিনি কারখানায় প্রায় সাড়ে ৬৮ কোটি টাকা লোকসান পুষিয়ে মূল মুনাফা প্রায় সাড়ে ৮০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানের খাতায় জমা হয়েছে। যা কোম্পানির ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড।
কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে শুধু ডিস্টিলারি ইউনিট থেকে কোম্পানি সর্বোচ্চ এ্যালকোহল (মদ) বিক্রি করেছে। যা ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার প্রুফ লিটার মদ বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ প্রুফ লিটার বেশি। ২০২১-২২ অর্থ বছরে হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় সেই বছর ১০ লাখ প্রুফ লিটারের বেশি মদ বিক্রি করে কোম্পানিটি।
তিনি জানান, এ বছর ডিস্টিলারি বিভাগ থেকে ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার লিটার মদ উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্য ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৬১৯ লিটার বিলেতি মদ ও ৩২ লাখ ৮০ হাজার ২২০ লিটার বাংলা মদ উৎপাদন হয়।
কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন যোগদানের পর থেকে এ মিলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।আগামীতে আখের মৃল্য বৃদ্ধি করার ফলে আগামীতে আখ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ১৯৩৮ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় প্রতিষ্ঠিত হয় কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। বর্তমানে ছয়টি ইউনিটে চিনি, ডিষ্টিলারি, ফার্মাসিউটিক্যালস, বাণিজ্যিক খামার, আকন্দবাড়িয়া খামার (পরীক্ষামূলক) এবং জৈব সার উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। এরমধ্যে শুধু ডিস্টিলারি (মদ) ইউনিটই লাভজনক।
সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৪২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছর রাজস্ব আদায় ও কোম্পানি পরিচালনাসহ সব খরচ বা ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা লাভ করে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার মদ বিক্রি করে কোম্পানি। ওই বছর লাখ হয় ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আরএক্স/