সিআরবির জোড়া খুন, ৬৩ আসামির বিচার শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
২০১৩ সালে সিআরবিতে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে শিশুসহ দুজন নিহতের ঘটনায় যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ৬৩ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সম্পূরক চার্জশীটে আসামি ৬৪ জন হলেও কারাগারে খুন হওয়া অমিত মুহুরীকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ মে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিন এ আদেশ দেন। এসময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুসহ এজহারভুক্ত ৫২ জন আসামি। চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দীন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ৬৩ আসামি হলেন- যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তার গ্রুপের যুবলীগ নেতা রিটু দাশ, প্রেমাশীষ মুৎসুদ্দী, অজিত বোস, মোহন তাঁতী, খোকন চন্দ্র তাঁতী, অজিত দাশ, চান মিয়া, রাজু, রাকেশ, সুমন, টিটু দাশ, লাবলু ঘোষ, টিপু, আসলাম, ছোটন বড়ূয়া, সুমন চৌধুরী, শিবু দাশ চৌধুরী, শিমুল প্রসাদ পিন্টু, ফারুক, জসিম, মনির মিয়া, আনু মিয়া, ইউসুফ, জাহিদ, জহির, ফরিদ ও মনির।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন ও তার অুনসারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা অমিত চক্রবর্তী শশি, মোহাম্মদ টিপু, ওসমান গণি দুলু, মনোয়ারুল আলম চৌধুরী, জাহেদ, আমিন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরীফ আহমেদ, আমির হোসেন আমু, রায়হান আহমদ, কামরুল হাসান, নজরুল ইসলাম, রানা আহমেদ, মনিরুজ্জামান দিনার, হাসমত আলী রাসেল, সুজয়মান বড়ুয়া, জমির উদ্দিন, আবু জাফর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, রাজু মুন্সী, ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান, জাফর, পিয়াল আইচ, তারেকুর রহমান, ইলিয়াছ, জাবেদ হোসেন, রুবেল চন্দ্র দাশ, নাজমুল হাসান, আশরাফুল হোসেন, মিলন, আশরাফুল আলম, রবিউল ইসলাম জিলানী, কিয়াস কুমার দাশ ও বিশ্বজিত দাশ।
আদালত সূত্র জানায়, রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের কোটি টাকার দরপত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও পথচারী শিশু মোহাম্মদ আরমান (৮)। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদি হয়ে হয়ে বাবর-লিমনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় বাবর-লিমন দুজনই গ্রেপ্তার হন। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। ২০১৫ সালের নভেম্বরের ৬২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সে সময় আসামি পক্ষের নারাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ আড়াই বছর পর পিবিআই নতুন করে দুজনকে যুক্ত করে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশির্ট দাখিল করে।
এসএ/