রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩ বছর ধরে অচল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৩


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩ বছর ধরে অচল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ

প্রায় ৩৩ বছর ধরে অচল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। এটি সচলের তোড়জোড় শুরু হতেই আবার কমতে শুরু করেছে। ফলে রাকসু নির্বাচন এখনও অনিশ্চিত। নির্বাচনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসেবে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করলেও প্রশাসন নেয়নি কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ ।


বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রত্যেক বছর রাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও শুধু সংলাপেই থেমে থাকছে এর কার্যক্রম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাকসু নির্বাচন হয়েছে ১৪ বার। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৯-৯০ মেয়াদের জন্য।


সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছে, দীর্ঘদিন রাকসু নির্বাচন না হওয়ায় একদিকে যেমন সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কেউ নেই অন্যদিকে রাকসুর অনুপস্থিতিতে ক্ষমতায় থাকা দলগুলোর ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িয়ে পড়ছেন হলের সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে নেতৃত্ব সংকট ।


এছাড়াও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। রাকসু কার্যকর না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকারের কথা বলতে পারছে না। সত্যিকার অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন রাকসু চায় না। কারণ এখন তারা যেভাবে সব সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারছে, রাকসু সচল থাকলে তা আর পারবে না। তাই মূলত রাকসু নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচনের দাবিতে আমরা আবারও আন্দোলন শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই ১৪ দফা দাবি জানিয়েছি। আশা করি এবার রাকসু সচল করতে প্রশাসন সদিচ্ছার অভাব দেখাবে না।


আবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জানান, রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের সাথে সংলাপ চলছে। এটি প্রক্রিয়াধীন বলে প্রশাসন জানিয়েছেন। ক্যাম্পাসে নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন কার্যক্রম করছে না জানি না। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তফসিল ঘোষণার দাবি জানাবো।


এদিকে উপ-উপাচার্য ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকা রাকসুকে সচল করতে হলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে পরামর্শের মাধ্যমে একটা পর্যায়ে আসতে হবে। রাকসু কার্যকর করার জন্য প্রশাসন সবসময় সচেষ্ট ও আন্তরিক। আমরাও চাই রাকসু নির্বাচনটা হোক। রাকসু নির্বাচন না হওয়ায় যেমন বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ এখান থেকেই তো ভবিষ্যতের নেতৃত্ব বের হবে।


আরএক্স/