বাঁশের সাঁকো একমাত্র ভরসা দুর্ভোগে দশ গ্রামের মানুষ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:০৫ অপরাহ্ন, ২৫শে আগস্ট ২০২৩
উনিয়নের বক্তারপুর খালের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে রাকসা বাজার পাড়ি দিয়ে উপজেলা শহরে আসতে হয় হাজার হাজার মানুষের।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক'শ শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন পথচারী এবং এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ ভেঙে পড়া কালভার্টটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের বার বার জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
জানা যায়,এখানে যে কালভার্টটি ছিল দুই বছর আগে সেটা বর্ষায় ভেঙ্গে গেলে সংস্কারের কোনো উদ্যাগে নেয়নি কতৃপক্ষ। পরে স্থানীয়দের উদ্যােেগ ওই স্থানে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। এতে বক্তারপুর সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটিও সর্ব সাধারণের যাতায়াতে নড়বড় হয়ে ভেঙে গেছে। এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে শিশু,বৃদ্ধ সহ নানা বয়সী মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা আজমল হোসেন জানান, দ্রুত সময় কালভার্টটি সংস্কার করা হলে একদিকে যেমন জন সাধারণের দুর্ভোগ কমবে তেমনি অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে।
পথচারী কাইয়ুম আলি জানান, পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয় কিন্তু ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকোর কারণে আমাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না। শুধু তাই নয় সামনে মসজিদ থাকা সত্বেও ঠিকমতো মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন না মুসল্লিরা।
আ,মালেক নামে এক ভ্যান চালক বলেন,বক্তারপুর থেকে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন রাকসা বাজার হয়ে উপজেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি কিন্তু এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে গর্ভবতী মা, বোন এবং রোগীকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয় আমাদের।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রফিক উল্লাহ জনগণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন ,আপাতত চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোটি দ্রুত মেরামত করা হবে। তারপর বর্ষা মৌসুম শেষ হলে বরাদ্দ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা,সবুর আলি এ প্রতিবেদককে জানান,ইতিমধ্যে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কেও অবহিত করা হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএক্স/