নাজিরারটেক থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ৭ জলদস্যূ আটক


Janobani

সুজন চক্রবর্তী, আসাম (ভারত)

প্রকাশ: ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৩


নাজিরারটেক থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ৭ জলদস্যূ আটক
৭ জলদস্যূ। ছবি: জনবাণী

কক্সবাজার শহরে নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ অস্ত্র ও গুলিসহ সাত জলদস্যূকে আটক করেছে র‌্যাব।


রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।


আটকরা হল, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকার মৃত বাহাদুর মিয়ার ছেলে মো. মঞ্জুর আলম ওরফে মঞ্জু (৩৮), চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ছনুয়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. বাহার উদ্দিন বাহার ওরফে মাহবুব (৩২), কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কালুয়ার ডেইল এলাকার মৃত সামছুল আলমের ছেলে মকছুদ আলম (৩২), পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়ার মৃত ছৈয়দুল করিমের ছেলে মো. তোফায়েল (২১), চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পূর্ব মোহাজের পাড়ার বদিউল আলমের ছেলে মো. দিদার (৩০), চট্টগ্রাম জেলার হাটবাজারী উপজেলার মাদরাসা ইউনিয়নের উত্তর মাদরাসা এলাকার মৃত মো. ইছহাকের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং কক্সবাজার শহরের উত্তর কুতুবদিয়াপাড়ার ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ (২৭)।


র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, আটক মো. মঞ্জুর আলম ওরফে মঞ্জু একজন চিহ্নিত জলদস্যূ এবং নিজের নামে বাহিনী রয়েছে। তার নামে কক্সবাজার সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৯ টির বেশী মামলা রয়েছে।এছাড়া আটক অন্যদের বিরুদ্ধেও সাগরে জলদস্যূতাসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে জলদস্যূমুক্ত করতে র‌্যাবের নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। রোববার ভোররাতে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে সশস্ত্র একদল লোক মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে খবরে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১২ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৭ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।  পরে আটকদের হেফাজত ও ঘটনাস্থল তল্লাশী করে পাওয়া যায় ৩ টি দেশিয় তৈরী বন্দুক, ৭ টি গুলি, ২ টি লম্বা কিরিচ , ২ টি চাকু, ২ টি টর্চ লাইট ও ৭ টি বাটন মোবাইল।


র‌্যাবের এ অধিনায়ক বলেন, “আটকদের মধ্যে মজ্ঞুর আলম ওরফে মজ্ঞু একজন জলদস্যূ সর্দার। আটকদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।”


আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।


আরএক্স/