প্রযুক্তির সফলতা ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা এক দশক থেকেই দৃশ্যমান। ইতিমধ্যে মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটসহ কয়েকটি বড় প্রাপ্তি বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অন্য রকম উচ্চতায়। বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্বে অর্জন করে নিয়েছে নিজেদের একটি সম্মানজনক স্থান। সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের নাম হচ্ছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে অগ্রযাত্রা শুরু। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিভিন্ন অনুষঙ্গের ওপর গুরুত্বারোপ করে কাজ করে চলেছে। যেমন:কানেকটিভিটি ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন এবং ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা সহ আরো অন্যান্য। বিশেষজ্ঞরা তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক এই উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আখ্যায়িত করছেন ডিজিটাল নবজাগরণ হিসেবে। দুই হাজার একুশ সালের মধ্যে আইসিটি পেশাজীবীর সংখ্যা বিশ লাখে উন্নীত করা, আইসিটি খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় এবং জিডিপিতে এ খাতের অবদান
পাঁচ শতাংশ নিশ্চিত করা। এছাড়াও জীবনমানে পরিবর্তন আনার জন্য দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে মানুষের জীবনে এর বড় প্রভাবও দেখা গেছে। বড় পরিবর্তন এনেছে উবার-পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারিং সেবা চালু হওয়ায়। এ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান যেমন বেড়েছে, তেমনি অনেকের যাতায়াতে সুবিধাও হয়েছে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বাড়ায় নতুন উদ্যোক্তাও সৃষ্টি হয়েছে। এবং অবকাঠামো উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সারা দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কানেকটিভিটি স্থাপনের জন্য বাংলাগভর্নেট ও ইনফো সরকার-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ফলে সরকারের আটান্ন টি মন্ত্রণালয়, দুই শত সাতাশ টি
অধিদপ্তর, চৌষট্টি টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং জেলা ও উপজেলার আঠার হাজার পাঁচ শত টি সরকারি অফিস নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।
এবং আট শত টি সরকারি অফিসে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম,দুই শত চুয়ান্ন টি অ্যাগ্রিকালচার ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টার (এআইসিসি) ও পঁচিশ টি টেলিমেডিসিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা যাতে অফিসের বাইরে থেকেও দাপ্তরিক কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদন করতে পারেন, সে জন্য তাঁদের মাঝে পঁচিশ হাজার ট্যাব বিতরণ করা হয়েছে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি এবং এই উন্নয়নে লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের মাধ্যমে চৌত্রিশ হাজার এবং লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় পঞ্চান্ন হাজার মানুষকে যথাক্রমে বেসিক আইসিটি, টপ-আপ, ফিউচার লিডার এবং ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিকেআইসিটি থেকে তিন হাজার দুই শত ছিয়াওর বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট অব কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক প্রকল্পের আওতায় দেশে-বিদেশে চার হাজার নয় শত একাশি এবং বাড়ি বসে বড় লোক কর্মসূচির অধীনে চৌদ্দ হাজার সাত শত পঞ্চাশ জনকে বেসিক আইসিটি, স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট ও ফ্রিল্যান্সিংসহ নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও সেবার ডিজিটালাই- জেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ছয় শত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে।অ্যাপস গুলো গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে এসব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছে। এ ছাড়া দুই শত বছরেরও অধিককাল ধরে প্রচলিত বিচারিক কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের বিচারিক ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশনে সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সাইবার হয়রানি রোধে একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এই কর্মসূচির আওতায় একটি হেল্পলাইনও চালু করা হয়েছে।
দুই হাজার আঠার সালের বার মে বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এরই মধ্যদিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশ অভিসিক্ত হলো সাতান্ন তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের মর্যাদায়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে টেলিযোগা- যোগ সুবিধার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দুই হাজার তেইশ সালের মধ্যে এটির কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। দেশের প্রথম স্যাটেলাইটের মাধ্যমে স্যাটেলাইট নির্ভর সম্প্রচার ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করে। অন্যান্য প্রকৃতি ও ধরনের স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির সক্ষমতা তৈরি সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ জাতীয় জীবনের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হতে যাচ্ছে। দুই হাজার আঠার সালে বিশ্ব যখন ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ সেই বছরই এই প্রযুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। দুই হাজার আঠার সালের পঁচিশ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ দেশে ফাইভ-জির সফল এই পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এর আগে দুই হাজার আঠার
সালের বার ফেব্রুয়ারি ফোর-জি বেতার তরঙ্গ নিলাম এবং একই বছর বিশ ফেব্রুয়ারি মোবাইল অপারেটরদের ফোর-জি লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে ফোর-জি সেবা চালু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ষোল ডিসেম্বর দুই হাজার একুশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো। ফাইভ-জি প্রযুক্তি হচ্ছে একটি শিল্প পণ্য।
আগামী দিনের প্রযুক্তি এআই, রোবটিক্স, আইওটি, বিগডাটা কিংবা ব্লকচেইনের যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্প প্রতিষ্ঠান কিংবা মৎস্য ও কৃষির জন্য ফাইভ জি অপরিহার্য। এমনকি শিল্প কারখানায় বিদেশি বিনিয়োগ কারীরাও ফাইভ-জি ছাড়া বিনিয়োগ করবে না। এজন্য প্রাথমিকভাবে দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ফাইভ-জি সংযোগ দেওয়ার জন্য বিটিসিএল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।দেশের ৫৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্রিওয়াইফাই জোন স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধান মন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দ্বীপ, চর ও হাওর অঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কাজ করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থে ইতোমধ্যে দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬শত ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষার কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্য দিয়ে দেশে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে চলেছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল, হাওর, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম পাহাড় উপকূলীয় ও দ্বীপ এলাকায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে।বর্তমান সরকার দুই হাজার নয় সালে দায়িত্বভার গ্রহণকালে বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ছিল ত্রিশ শতাংশ। বর্তমানে এই হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। দুই হাজার আট সালে যেখানে মোবাইল গ্রাহক ছিল চার কোটি চেচল্লিশ লাখ, বর্তমানে তা আঠার কোটি বিশ লাখ অতিক্রম করেছে। ওই সময়ে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র চল্লিশ লক্ষ, বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় বার কোটি একানব্বই লক্ষ। ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার যেখানে ছিল সাত দশমিক পাঁচ জিবিপিএস বর্তমানে তা সাতাশ শত জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। দুই হাজার আট সালে টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত লাইসেন্স ছিল ছয় শত আট টি,বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ সংখ্যা তিন হাজার তিনশত ছিয়ানব্বই টি।
দুই হাজার একুশ সালে আইএসপি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টার নেটের একদেশ একরেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে একদেশ এক রেট চালু করা হয়।কোভিড কালে মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত শতভাগ টাওয়ার ফোরজি নেট ওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। দেশ ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়েছে।মোবাইল ফোন ও নেটওয়ার্ক এখন মানুষের জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তিবান্ধব বিনিয়োগ নীতির ফলে দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোনের চাহিদার শতকরা ৬৩ ভাগই বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। স্যামসাং ও শাওমিসহ দেশে চৌদ্দ টি মোবাইল কোম্পানি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে মেড-ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের ফাইভজি মোবাইল রপ্তানি করছে। মোবাইল ফোন এবং এর বিভিন্ন অ্যাপসের ব্যবহার, উচ্চগতির ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট, ওভার দ্যা টপ (ওটিটি) অ্যাপস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্যাটেলাইটসহ আধুনিক টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি দেশের জনগণের জীবনকে সহজ ও সাবলীল করেছে। ডিজিটাইজেশনের প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত হাওর, দ্বীপ ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপনে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) এক হাজার পাঁচ শত পঁচিশ কোটি ছাপ্পান্ন লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পাঁচ শত চার কোটি তেতাল্লিশ লাখ টাকা ব্যয়ে টেলিযোগা যোগ সুবিধা বঞ্চিত এলাকাসমূহে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপনে চুয়াল্লিশ কোটি চৌচল্লিশ লাখ টাকা।
এদিকে টেলিটকের মাধ্যমে তিন শত আশি কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর ও দ্বীপাঞ্চলে ব্রডব্যণ্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন, বিটিসিএল এর মাধ্যমে চার শত পঞ্চাশ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর-বাওর ও প্রত্যন্ত ব্রডব্যান্ডন্ড ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ চলছে। দুই হাজার একচল্লিশ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের বিশটি উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই সময়ে বাংলাদেশের তরুণদের এগিয়ে থাকতে এআই, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটার মতো আধুনিক বিষয়গুলো শেখার দিকে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশের সম্পদ তরুণ জনশক্তি। তাঁরা তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এ খাতে দেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও এখন রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের দাবি বিদেশ থেকে অর্থ আনার ক্ষেত্রে পেপ্যাল চালু করা করা। এ খাতে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। এর বাইরে কম খরচে দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাওয়ার দাবিও রয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে তার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।এবং এরই ধারাবাহিকতায় স্মার্টফোনের সক্ষমতা,ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ক্লাউড কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, রিয়েল-টাইম স্পিচ রিকগনিশন, ন্যানো কম্পিউটার, ওয়্যারেবল ডিভাইস ও নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন, সাইবার সিকিউরিটি, স্মার্ট সিটিজ, ইন্টারনেট সেবা আরো উন্নত হবে। ক্লাউড কম্পিউটিং ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের বিকাশ এ দশকে বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির দিশা পুরোদমে পাল্টে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন পূরণের এ অভিযাত্রায় তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নিরন্তর এ পথ চলা আরো গতিময় হোক, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা হোক এটাই জাতির প্রত্যাশা।
লেখক: রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট ।