চায়না দুয়ারীর থাবায় বেড়ার হাট-বাজারে নদ-নদীর মাছে সয়লাব
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৩
গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনা হুড়াসাগর নদীর পানি কমতে থাকায় পাবনার বেড়া উপজেলার নদ-নদী ও বিভিন্ন খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির হরেক রকমের মাছ প্রচুর পরিমানে জেলেদের জালে এবং ভয়ংকর চায়না দুয়ারী জালে ধরা পড়ছে।
যার ফলে হাট-বাজার গুলোতে এখন দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন জাতের মাছ ও পোনামাছে সয়লাব হয়ে গেছে।
প্রতিদিন ভোরবেলা থেকেই মাছ বাজার গুলোয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় ও হাক-ডাকে কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে বুধবার সকালে উপজেলার নদীর তীরবর্তী পেচাকোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের অন্য জায়গা গুলোতে লোকসমাগম না থাকলেও মাছ বাজারে উপচে পড়া ভির।
বিভিন্ন দেশীয় মাছ টাটকিনি, বাইন, কালবাউশ, ফলি, কৈ, চিতল, টেংরা, পুঁটি, খলিসা, তিনকাঁটা, কাঁচকি, টাকি, গজার, বোয়ালসহ নানান প্রজাতির মাছ যার অধিকাংশ মাছের বাচ্চা এবং পোনা আকারের।
এসব মাছ নদী তীরবর্তী এলাকার পেশাদার জেলে ও শৌখিন মাছ শিকারিরা খরা, বেড়জাল, ঝাঁকিঝাল, ঠেলাজাল সহ অবৈধ নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জালের মাধ্যমে অবাধে ধরে এনে বাজারে বিক্রি করছে।
উক্ত বাজারে কথা হয় মাছ ব্যবসায়ী নরেন হালদারের সাথে তিনি বলেন, নদীর পানি কমতে থাকায় কয়েকদিন ধরে দেশীয় মাছের আমদানি একটু বেশি। দামও আগের চেয়ে তুলনা মূলক ভাবে কম, আগে মাঝারি সাইজের যে মাছ ৬ শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতাম এখন সে মাছ ৩- ৪ শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বড় সাইজের মাছ ১২ শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতাম এখন ৮ -৯ শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ছোট এবং পোনা সাইজের মাছের এত আমদানি কেন এ প্রসঙ্গে অপর মাছ ব্যবসায়ী শাহনূর বলেন, ছোট এবং পোনা জাতীয় মাছগুলো সাধারণ জালে ধরা না পড়লেও খাল-বিলে চায়না দুয়ারীর জালে এ সব মাছ আটকা পড়ছে যার ফলে হাট-বাজারে এসব মাছের আমদানি হচ্ছে অনেক বেশী। এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো, নাসির উদ্দীন এ প্রতিবেদককে জানান , মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলতি মাসের দশ তারিখেও উপজেলার কাজির হাট এলাকায় নগরবাড়ি নৌ- পুলিশের সহায়তায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার অবৈধ নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারীর ও বেড় জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
আরএক্স/