গংগাচড়ায় ভ্যাকসিন সংকট: পাওয়া যাচ্ছে না ইপিআই টিকা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:১৪ অপরাহ্ন, ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৩


গংগাচড়ায় ভ্যাকসিন সংকট: পাওয়া যাচ্ছে না ইপিআই টিকা
ফাইল ছবি

রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার টিকা কেন্দ্রগুলোয় শিশুদের জন্মের পর ধাপে ধাপে দেওয়া টিকা দান কার্যক্রমের (ইপিআই) টিকা গত এক মাস যাবত কোথাও নেই। ফলে প্রতিদিনই অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে টিকা কেন্দ্রে এসে পুনরায় ফিরে যাচ্ছে।


জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শিশু ৬ সপ্তাহ হলে আইপিভি টিকার প্রথম ডোজ ও ১৪ সপ্তাহ বয়সে ২য় ডোজ দিতে হয়। একই সময়ে পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব), ওপিভি এবং পিসিভি টিকার ১ম ডোজ দিতে হয়।


তারপর কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ/২৮ দিনের ব্যবধানে এ সকল টিকার ২য় এবং ৩য় ডোজ দিতে হয়। শিশুর ২৭০ দিন পূর্ণ হলেই শিশুকে ১ম ডোজ এবং ১৫ মাস বয়স পূর্ণ হলেই ২য় ডোজ এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকা দিতে হয়।


কিন্তু গংগাচড়া উপজেলায় গত একমাস যাবত বিসিজি ও ওটিভি টিকা ছাড়া শিশুদের কোনো টিকা মজুদ নেই। ফলে শিশুদের সময় অনুযায়ী টিকা গুলো দেওয়া যাচ্ছে না।


নোহালী ইউনিয়ন টিকাদান কর্মী শামীমা আক্তার জানায়, বেশকিছু দিন থেকে ২-৯মাস বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিনের (টিকা) সরবরাহ না থাকায় প্রতিনিয়ত টিকা ক্যাম্পে এসে বিরক্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। আমরাও সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম চালাতে পারছি না। 


উপজেলার ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট আনোয়ার ইসলাম বলেন, ইপিআই টিকার মধ্যে ২ থেকে ৯ মাস বয়সী শিশুদের যে টিকাগুলো দেয়া হয় আপাতত সেগুলোর সংকট আছে। চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সরবরাহ হলে টিকা কার্যক্রম আবারো স্বাভাবিক হবে।


সময় মত টিকা দিতে না পারলে শিশুদের কোনও ক্ষতি হবে কিনা? সে প্রশ্নের জবাবে, টিকা দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও তা শিশু স্বাস্থ্যের উপর কোনো বিরুপ প্রভাব পড়বে না বলে জানায় সেই কর্মকর্তা।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না জানায়, টিকার জন্যে আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। যেন দ্রুত টিকা আসে ইতিমধ্যেই সেই ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। আশাকরি খুব শিগগিরই টিকা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।


জেবি/এসবি