কালীগঞ্জে “বীরের কন্ঠে বীরগাঁথা” প্রকল্পে গল্প শোনালেন মুক্তিযোদ্ধারা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৩


কালীগঞ্জে “বীরের কন্ঠে বীরগাঁথা” প্রকল্পে গল্প শোনালেন মুক্তিযোদ্ধারা
মুক্তিযোদ্ধারা। ছবি: জনবাণী

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে “বীরের কন্ঠে বীরগাঁথা” প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ কার্যক্রম চলে। উপজেলার জীবিত ১৬১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন "বীরের কন্ঠে বীরগাঁথা" প্রকল্পের আওতায় স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের যুদ্ধ স্মৃতি ধরে রাখার জন্য জীবিত বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনাদের ভাষ্য গ্রহণ এবং মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের পরিবারের স্মৃতিচারণমূলক ভাষ্য গ্রহণ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক তথ্যচিত্র নির্মাণ কাজ ১৯ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ জেলার মাঠ পর্যায়ে শুরু হয়।


তারই ধারাবাহিকতায় কালীগঞ্জ উপজেলায় এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা ।


সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন বুথে যেয়ে মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন সময়ে নিজের জীবনের মুক্তিযোদ্ধাকালীন সময়ের সামগ্রিক ইতিহাস স্মৃতি, সম্মুখ যুদ্ধের বর্ণনাসহ বীরত্বগাঁথা নানা গল্প ক্যামেরার সামনে উপস্থাপন করছেন।মূলত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বীরত্বগাঁথা গল্পগুলো আর্কাইভে সংরক্ষণ ও ইউটিউব কনটেন্ট তৈরি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ এবং ধারাবাহিক প্রচারণার উদ্দেশ্যেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।


কালিগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হেলাল উদ্দিন সর্দার বলেন,জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বয়স হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা ও বয়স্ক জনিত কারণে অনেক মুক্তিযোদ্ধা ইতিমধ্যে মারাগেছেন। আর এখনো যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত আছেন তাদের জীবনের বীরত্বগাঁথা গল্পগুলো শোনার যে উদ্যোগ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এই প্রকল্পের যারা এখানে  কাজ করছেন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে সার্বিক সহোযোগিতা করছি।


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বীরের কন্ঠে বীরগাঁথা প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মেহেদী হাসান জানান,উপজেলার বীরঙ্গনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করছি। আমরা অন্যান্য উপজেলার ন্যায় এই উপজেলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বীরত্ব গাঁথা গল্প সংগ্রহের মাধ্যমে এই উপজেলা তথা সারা দেশের নতুন প্রজন্মদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ আমাদের গৌরবময় মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।


উপজেলা মুক্তযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিরত্বগাঁথা গল্পের ভিডিও চিত্র ধারণ কার্যক্রম চলছে। সরকারের এই মহতী উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানতে পারবে।


আরএক্স/