কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই

তার মৃত্যুর খবর টি নিশ্চিত করেছেন তার জামাতা নাদিম ইকবাল।
বিজ্ঞাপন
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেনবরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কানাডার টরন্টোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বিজ্ঞাপন
তার মৃত্যুর খবর টি নিশ্চিত করেছেন তার জামাতা নাদিম ইকবাল।
বিজ্ঞাপন
বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় ছেলে ও মেয়ের সাথে বাস করছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী। তিনি গেল বছর নভেম্বর থেকে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
বাংলাদেশের প্রধান কবিদের অন্যতম কবি আসাদ চৌধুরী । তিনি তার আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গী, টেলিভিশনে জনপ্রিয় সব অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার জন্য পরিচিত। মৌলিক কবিতা ছাড়াও শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী এবং অনুবাদকর্মে তার অবদান প্রণিধানযোগ্য। ১৯৮৩ সালে তার রচিত 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ' শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া একই বছর তিনি সম্পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ “সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু”।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
রিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বজন্মগ্রহণ করেন কবি আসাদ চৌধুরী । ১৯৫৭ সালে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।। ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে তিনি উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে কবি আসাদ চৌধুরীর চাকুরিজীবন শুরু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবদিকতা করেছেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি ভয়েজ অব জার্মানীর বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে যোগদান করে দীর্ঘকাল চাকুরীর পর এর পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








