নামতে শুরু করেছে তিস্তার পানি, স্বস্তি তীরবর্তী মানুষদের


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪০ অপরাহ্ন, ৫ই অক্টোবর ২০২৩


নামতে শুরু করেছে তিস্তার পানি, স্বস্তি তীরবর্তী মানুষদের
আকস্মিক বন্যার পানি। ছবি: জনবাণী

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার  ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সংঙ্কা কাটিয়ে নিম্নাঞ্চল থেকে নেমে যাচ্ছে পানি। উঠতি ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।


উৎপত্তিস্থল ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা ঢলে গতকাল হু হু করে বাড়তে থাকে তিস্তা নদীর পানি। ফলে লালমনিরহাটে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও  মানুষকে বন্যার আশঙ্কায় সতর্ক থাকতে বলা হয়। এতে আতঙ্ক দেখা দেয় তিস্তা পাড়ে। গবাদি পশুসহ  কেউ কেউ আশ্রয় নেয় নিরাপদ স্থানে। নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। তবে সব সঙ্কা কাটিয়ে মধ্যরাত থেকে কমতে থাকে পানি। তাই সকাল থেকে এসব মানুষ নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ফলে গতকাল  বিকেল থেকে নদী উপচে লোকালয়ের দিকে আসা পানি সকাল থেকে নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে জেলার আদিতমারীর মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও রাজপুর ইউনিয়নের তিস্তাতীরবর্তি নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা জলমগ্ন রয়েছে।


আকস্মিকভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে পাকা আমন ধানের অনেক ক্ষেত ডুবে গেছে। আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন নদীপাড়ের কৃষকরা।


তিস্তা পড়ের কৃষক আজমল মিয়া বলেন, এভাবে তিস্তার পানি এসে ধাক্কা দিবে বুঝতে পারিনি। আবাদি জমি সব শেষ করে দিয়েছে। আমি চাই সরকার এবার তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।


বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বিকেল পর্যন্ত তিস্তার পানি কমা অব্যাহত থাকবে। পরবর্তি সময়ে আবারও পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে বন্যা দেখা দিলে সবধরণের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।


লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য শুকনো খাবারে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও যারা ক্ষতি মুখে থাকবেন তাদের তালিকা করে ক্ষতি পূরুন দেয়া হবে।


আরএক্স/