পঞ্চগড়ে শীতের আগমনী বার্তা, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫১ অপরাহ্ন, ১৮ই অক্টোবর ২০২৩


পঞ্চগড়ে শীতের আগমনী বার্তা, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে
ভোরের শিশির

হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড়ে শরতের প্রথমেই শুরু হয়েছে শীতের পদধনি। দিনে গরম আবহাওয়া থাকলেও সন্ধার পর থেকেই প্রকৃতি যেন জানান শীতের আগমনী বার্তা। রাতভর টিপটিপ করে শিশির পড়ে। খোলা মাঠের দুর্বা ঘাসের উপর চিকচিক করা শিশিরফোঁটা। ভোরে ফসলের মাঠ, সবজি ক্ষেত ভরে যায় ভোরের শিশিরে। 


সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন ২০ দশমিক শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবাহওয়া অফিস।


আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শীতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতি বছর নভেম্বররের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর-জানুয়ারি কনকণে শীত অনুভূত হয়। তবে শীতের আমেজ শুরু হয় অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই। 


প্রতি বছরের মত এবারও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের শেষে দিকে সর্বনিম্ন তামপাত্রা কমতে থাকে। ক’দিন ধরে পঞ্চগড় এবং তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। রোববার জেলায় সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এদিন সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


এদিকে দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে কারণেপঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক রোগী।


পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোনের বলেন, অন্য এলাকার তুলনায় পঞ্চগড়ে প্রতি বছর আগেভাগেই শীত শুরু হয়। আর ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণত অনেকেই ভাইরাসজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়। 


বর্তমানে শিশু ও বৃদ্ধরা শতিজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। সীমিত জনবল আর স্থান সংকুলান না হওয়া সত্বেও আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।জেলা শহরের ইসলামবাগ মহল্লার রইসুল আলম বলেন, দুই তিনদিন ধরে সন্ধার পর থেকে শীত শীত লাগছে। 


ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হলে ঘনকুয়াশা দেখা গেছে। বোমবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা ছিল। রাতে শীতের কারণে আপাতত কাথা বের করা হয়েছে।


তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, সোমবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন সর্বোচ্চ ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।


জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, হিমালয় কন্যা হিসেবে পরিচিত আমাদের পঞ্চগড়ে অন্য জেলার তুলনায় আগেই শীত শুরু হয়। কয়েকদিন ধরে শীতের আমেজ অনুভূতহচ্ছে। শীত নিয়ে দুঃস্থ্য ও খেটে খাওয়া মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে প্রতি বছরের মত এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা শীতের কম্বলসহ পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের চাহিদা জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।


আরএক্স/