অদৃশ্য হচ্ছে দুর্গাপূজার প্রতিমা, দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪২ অপরাহ্ন, ২৩শে অক্টোবর ২০২৩
ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাম্বলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষ্যে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের মৌপুকুর গ্রামে সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে আনুমানিক ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে দুর্গাপূজার প্রতিমা।
রবিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ঐ পূজা মন্ডপে দেখা যায় প্রতিমা মাঝে মধ্যেই অর্দৃশ্য হয়ে যাচ্ছে দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়। অদৃশ্য প্রতিমা গুলোর মধ্যে রয়েছে মহিশাশুড়,ভ্রম্মা,মহাকালী,দূর্গা,সেনাপতি।
প্রতিমা অর্দৃশ্য এটি দেখানোর জন্য থিম সাজানো হয়েছে প্রতিমা দিয়ে এ থিম সাজানো হয়েছে। থিমটি যেভাবে চলছে। থিমের প্রথমেই আসছে মহিশাশুড় তার অমর্ত্য নেওয়ার জন্য ভ্রম্মার কাছে বর চাইতে। তারপর আসছে ভ্রম্মা, আবার আসতেছে মহিশাশুড় ভ্রম্মার থেকে বর পাওয়ার পর সর্গ দখল করার জন্য। তখন দেবতার সঙ্গে যুদ্ধ লাগার কারণে মহাকালী আবিরভাব হয়ে অশুড় কে বদ করছে। এভাবেই সাজানো হয়েছে এই অর্দৃশ্য হওয়া থিমটি। প্রতিমা গুলো একে একে আসছে এবং চোখের পলকেই চলে যাচ্ছে।
জয়পুরহাট পাঁচবিবি থেকে দেখতে আসা সম্প রায় বলেন, আমি সকাল থেকে ৩০ টি মন্দিরে ঘুরেছি সবগুলোর মধ্যে এই মন্দিরের দৃশ্যটি আমাকে খুব ভালো লেগেছে।
র্পাবতীপুর থেকে আসা ঐশী কুন্ডু বলেন, গতকালকে শুনেছে বিরামপুরে মৌপুকুর গ্রামে গত বছরের থেকে এ বছর অনেক বড় পরিসরে দূর্গাপুজোর প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। শুনেছি মাঝে মাঝেই নাকি কিছু প্রতিমা অর্দৃশ্য হচ্ছে। এখানে এসে আমাকে খুবই ভালো লেগেছে । প্রতিমার সাহায্যে যে দৃশ্যটি সাজানো হয়েছে এটি খুব সুন্দর হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রীতা মন্ডল বলেন, আমাদের গ্রাম এলাকায়ও যে এত মানুষের সমাগম হবে জানতাম না। পূজা শুরু হওয়ার পর থেকেই শত শত মানুষের উপচে পড়া ভীড়। স্থানীয় ভাবে আমি খুবই খুশি।
মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী সঞ্জিত মন্ডল জানান, প্রতিমা অর্দৃশ্য এটি আমাদের একটি থিম । এই অর্দৃশ্য থিমটি সাজানো হয়েছে। মটর ও রশি কারেন্টের সাহায্যে। থিমটি পরিচালনা করার জন্য লোক রাখা আছে। মিউজিকের সঙ্গে মিল রেখে এটি পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের পূজা অর্চনা করার জন্য নিছে আলাদা ভাবে দূর্গা ঠাকুর আছে। আমাদের প্রতিমা অর্দৃশ্যের যে থিমটি করা হয়েছে এটি দেখানোর জন্য সাজানো হয়েছে।
মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক সুজিত চন্দ্র মন্ডল জানান, প্রতিবছরে আমাদের গ্রামে আমরা দূর্গাপূজা করে আসছি । এ বছর বড় পরিসরে দূর্গাপূজা উদযাপন করার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে । প্রথম বারের মতই অনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থ্যা করা হয়েছে। প্রশাসন মন্দির পরিদর্শন করেছেন।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম অওন বলেন, মন্দিরটি পরির্দশনে গিয়েছিলাম। অদৃশ্য হওয়ার থিমটি সাজানো খুবই ভালো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরএক্স/