গোবিন্দগঞ্জে বিসর্জনে মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৭ অপরাহ্ন, ২৫শে অক্টোবর ২০২৩


গোবিন্দগঞ্জে বিসর্জনে মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
ফাইল ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঢাকের বাদ্য আর আবীর খেলার মধ্য দিয়ে বিসর্জন হলো বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।দশদিন আগে মহালয়ার মধ্য দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে এই পূজার উৎসব শুরু হয়েছিল। 


মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিজয়ী দশমীতে বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জনে শাস্ত্রীয় সমাপ্তি হলো দুর্গাপূজার। সন্ধ্যায় হয় প্রতিমা বিসর্জন।


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ পৃথিবীতে আসেন। আর দশমার দিন বিসর্জনের মাধ্যমে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয় তাকে। দেবীর আগমন ও প্রস্থানের মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত মাঝের পাঁচদিন নানা আয়োজনে চলে দুর্গোৎসব।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আব্দুল লতিফ প্রধান, পৌরসভার মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী প্রধান বাদু,থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তনয় দেব,সাধারন সম্পাদক পৌরসভার কাউন্সিলর  রিমন তালুকদার,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সম্পাদক আশীষ কুমারদাস রন্টুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


এবার গাইবান্ধা জেলার ৭ উপজেলার ৬৩৯টি পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়। মণ্ডপগুলোর মধ্যে- গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১০১টি, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১০৮টি, পলাশবাড়ী উপজেলায় ৬২টি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১৪৭টি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১৩৭টি, ফুলছড়ি উপজেলায় ১৬টি ও সাঘাটা উপজেলায় ছিল ৬৮টি।


এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে মণ্ডপ পাহারার জন্য।


আরএক্স/