প্রযোজক সারওয়ার জাহানের মামলায় স্ত্রী রুকাইয়া কারাগারে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:০৪ অপরাহ্ন, ৩০শে অক্টোবর ২০২৩


প্রযোজক সারওয়ার জাহানের মামলায় স্ত্রী রুকাইয়া কারাগারে
রুকাইয়া - ফাইল ছবি

স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়া ও পাসপোর্টে নাম জালিয়াতি করে সন্তানকে বিদেশে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ  প্রযোজক সারওয়ার জাহানের মামলায় তার  স্ত্রী রুকাইয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।


সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ২১ অক্টোবর সারওয়ার জাহান বাদী হয়ে একটি জালিয়াতির মামলা করেন।  গত ২৩ অক্টোবর বাদী সারওয়ার জাহানের স্ত্রী রুকাইয়া এবং আনোয়ারুল কবির নামে দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর রোববার (২৯ অক্টোবর) তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


এ বিষয়ে প্রযোজক সারওয়ার জাহান  বলেন, ‘রুকাইয়া তাহসিনা ওরফে অন্তরা মেহজাবিনের সঙ্গে ২০১২ সালে আমার বিয়ে হয়। আমাদের দুই সন্তান আছে। আমার সঙ্গে থাকা অবস্থায় সে আনোয়ারুল কবির ওরফে শাকিল নামে একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ছয় বছর ধরে সে আমার ও আনোয়ারুল কবিরের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল।’


‘সবশেষ ১১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে আমি সেটা জেনে আলাদা হয়ে যাই। এমতাবস্থায় বড় সন্তান আহিল সারওয়ারের নাম জাল করার চেষ্টা করে আমার স্ত্রী। এমনকি আমি তার বাবা সেটা বাদ দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক কবিরের নাম দিয়ে পাসপোর্ট পরিবর্তন করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে। আমার ছোট সন্তান সেহরিশ সারওয়ারের ক্ষেত্রেও এমন হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’


বাদীপক্ষের আইনজীবী আল মামুন রাসেল  বলেন, ‘বাদী আদালতে দুজন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪১৯ ধারায় মামলা করেন। এক নম্বর আসামি বাদীর স্ত্রী ও ২ নম্বর আসামি তার স্ত্রীর কথিত স্বামী। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর সন্তানকে দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য জালিয়াতি করে একটি জন্মসনদ নিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে। যেখানে বাদীর বাচ্চার নাম ও বাবার নাম পরিবর্তন করে।’


‘নিজের বর্তমান পাসপোর্টে স্বামীর নামের জায়গায় ২ নম্বর আসামির নাম বসিয়ে ভিসা নেয়, যা আমাদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি ভয়ংকর অপরাধ। এটি জালিয়াতির পাশাপাশি শিশু পাচারের চেষ্টা ও অপরাধও বটে। আদালত আসামিদের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন। আসামিরা এখনো পলাতক।


জেবি/এসবি