দিন-দুপুরে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা, দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
নেশার টাকা না পেয়ে ঢাকার ধামরাইয়ে ঘরের দরজা আটকিয়ে ছয় মাসের সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। পরে প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘাতক স্বামী তামিম হোসেনকে (২৮) আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আটক তামিম হাতকোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। পরে পুলিশ ফাতেমা আক্তারের দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, তামিম হোসেন ভালোবাসা করে দুই বছর আগে বিয়ে করেন ধামরাইয়ের হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হাইজুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা বেগমকে (২৪)। তাদের সংসারে ছয় মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে শ্বশুড়বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যায় তামিম। এরপর স্ত্রীর কাছে নেশার জন্য টাকা চায় সে। না পেয়ে ঘরের দরজা আটকিয়ে তার ছয় মাসের সন্তানের সামনেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে ও জবাই করে তামিম। এতে ফাতেমার গলা থেকে দেহ দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। এসময় ঘুরানোর শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে তামিমকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে ফেলে। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ফাতেমার বাবা হাইজুল ইসলাম জানান, তামিম দিনমুজুরি করে সংসার চালাতো এবং প্রায়ই নেশা করতো। নেশার টাকা না পেলে প্রায়ই ফাতেমাকে মারধর করতো। আমার ছয় মাসের নাতিকে এতিম করে দিল। আমি তামিমের ফাঁসি চাই।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদ পারভেজ জনবাণীকে জানান, ফাতেমার লাশ উদ্ধার ও ঘাতক স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তামিমের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় এরআগে ছিনতাই ও মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। ফাতেমা হত্যার ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এসএ/