তথ্যমন্ত্রী মানুষের দারিদ্র্য আর সিইসি ভোট নিয়ে উপহাস করছে: রিজভী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মানুষের দারিদ্র্য নিয়ে উপহাস করছেন। একইভাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জনগণের ভোট নিয়ে উপহাস করছেন। সিইসি বিরোধীদলকে উসকানি দিচ্ছেন যে তোমরাও সন্ত্রাস কর।
সোমবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
‘বিরোধী দলকে মাঠ ধরে রাখতে হবে’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিরোধী দল মাঠ ধরে থাকবে কি? মাঠ তো সমান থাকবে, স্বচ্ছ থাকবে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার ও তার নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু এই সরকারের আমলে কী মাঠ সমান থাকবে? সেটা কি আপনি জানেন না? তথ্যমন্ত্রী মানুষের দারিদ্র্য নিয়ে আর সিইসি জনগণের ভোট নিয়ে উপহাস করছেন। সিইসি বিরোধীদলকে উসকানি দিচ্ছেন যে তোমরাও সন্ত্রাস করো।
তথ্যমন্ত্রীর এক বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তো আপনি বলবেন, কারণ আপনি তো বিনাভোটের মন্ত্রী। আপনি তো গ্রামে যান না, আপনি তো হাটবাজারে যান না, আপনি তো রেললাইনের ধারে যান না, আপনি প্লেনে-প্লেনে উড়ে বেড়ান, দামি গাড়িতে করে বাড়ি যান, কড়াইল বস্তিতে তারাবানু কীভাবে জীবনযাপন করছে, সেটি আপনার চোখে পড়ে না। তাই আপনি মানুষের দরিদ্রতা নিয়ে উপহাস করছেন।
সরকারের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আপনারা ফ্লাইওভার দেখান, আপনারা উড়াল সেতু দেখান, আপনারা মেট্রোরেল দেখান, এটা তো অতিতেও স্বৈরশাসকরা দেখিয়েছেন। এটা মিশরও দেখিয়েছে। তারপর কী দেখলাম- নিরন্ন মানুষ, যাদের জন্য হাসপাতাল নেই, স্কুল নেই। এইভাবে লুটপাটের রাজত্ব হয় স্বৈরশাসকদের আমলে। যেটার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি শেখ হাসিনার আমলে।
১/১১-এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, জুন মাসে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলেন, আমি ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) টেলিফোন করলাম- ম্যাডাম আমি কি স্টেটমেন্ট দেব? তিনি বললেন, অবশ্যই দাও। তারপরে আমি দিলাম। পরে দেখি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হান্নান শাহ তারাও স্টেটমেন্ট দিলেন। অথচ, আওয়ামী লীগের লোকরাও তখন স্টেটমেন্ট দেয়নি শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য। আর শেখ হাসিনা তার প্রতিদান দিয়েছেন দেশের একজন অবিসংবাদিত নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে। আজও তিনি মুক্ত নন। এখন তিনি নানানভাবে খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করছেন। এটাই হচ্ছে পার্থক্য।
বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/