পর্যটন শিল্পে যুক্ত হচ্ছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য গুলিয়াখালী সৈকত
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। সম্প্রতি এটিকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। হাতে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা।
পর্যটনের অপার সম্ভাবনা সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী। পাহাড়ি ঝর্ণা ও সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ প্রতিদিন টানছে হাজারো পর্যটক।
স্থানীয়দের কাছে এলাকাটি গুলিয়াখালী সী-বিচ নামে পরিচিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। পরিকল্পিত আধুনিকতার ছোঁয়া এখনও লাগেনি। তবে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই বৈচিত্র্যময়।
সরকারি পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় গুলিয়াখালী সৈকত হবে দেশের অন্যতম একটি পর্যটন এলাকা। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কিছু অপরিকল্পিত স্থাপনা গড়ে ওঠায় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তদের।
চট্টগ্রাম বিভাগের টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মুসলিম উদ্দিন বলেন, “পর্যটন বিকাশের অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে নিরাপত্তা, কমিউনিকেশন এবং অবকাঠামো। তবে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি।
মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার বলেন, “গুলিয়াখালি পিচকে পর্যটন ঘোষণা করার জন্য আমি সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিভিন্ন দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক এই লীলাভূমির সৌন্দর্য্য উপভোগের এখানে ছুটে আসবেন।”
সীতাকুণ্ড নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন বলেন, “আমরা আশা করবো এখানে অতি দ্রুত সরকারিভাবে রিসোর্ট এবং রেস্টুরেন্ট হবে।”
একদিকে সমুদ্রের দিগন্তজোড়া জলরাশি, অন্যদিকে কেওড়াবন। আছে সবুজ ঘাসের বিস্তৃত গালিচা। তার মাঝে বয়ে চলেছে আঁকাবাঁকা নালা। আর বনে হরিণ, শিয়াল এবং পাক-পাখালিদের অবাধ বিচরণ।
গুলিয়াখালীকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন।
গুলিয়াখালী সৈকত দেশের পর্যটন শিল্পে যোগ করবে বাড়তি মাত্রা। অর্থনীতিতেও রাখবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।
সীতাকুণ্ড ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, “পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করায় কাজের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে আমাদের। দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে সবার। এটিকে ঘিরে ইতিমধ্যে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।”
এসএ/