ধর্ম অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: খালাস পেলেন সেফুদা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:২৩ অপরাহ্ন, ৭ই নভেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদাকে ধর্ম অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত ফৌজদারী কার্যবিধি ২৬৫ ধারায় আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৬ জুন সেফুদার বিরুদ্ধে মামলার বাদী আলীম আল রাজী জীবন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর মামলার অভিযোগ তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতা ইসহাকসহ ৯ জনের কারাদণ্ড
মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়, আসামি সেফাত উল্লাহ সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে একাধিক ভিডিও আপলোড করেছে, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, যা আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধের শামিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা শাহজাহানসহ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন নেতা কারাগারে
উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ সেফুদা বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার চেরিয়ারা গ্রামের মৃত আলী আকবর মজুমদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অবস্থান করে ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি, ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করে ভাইরাল হন।
জেবি/এসবি