আসামে ১২ দিন ধরে ৫টি বাংলাদেশি জাহাজ আটক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১:৪০ অপরাহ্ন, ১২ই নভেম্বর ২০২৩
কেন্দ্রীয় সরকারের অসতর্কতার কারণে ১২ দিন ধরে আসামের ধুবড়িতে আটকে রয়েছে বাংলাদেশের ৫ টি জাহাজ। জাহাজগুলিতে অন্তত ২০ জন কর্মী রয়েছেন।
তারাও বিপাকে পড়েছেন। ব্রক্ষপুত্রের জল কমে যাওয়ায় জাহাজগুলি এখন দেশে ফিরতে পারছেনা। ফলে বিপুল আর্থিক সমস্যায় ও পড়তে হচ্ছে জাহাজগুলির মালিক সংস্থাকে।
তাদের অভিযোগ, ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ নৌপথ কতৃর্পক্ষ তাদের আগাম সতর্কবার্তা না দেওয়াতেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ব্রক্ষপুত্রের জল কবে বাড়বে, কবে তারা দেশে ফিরতে পারবেন তার কোনও নিশ্চিয়তা নেই। বরং ধুবড়ি
জেটিতে জাহাজগুলি নোঙর করে রাখায় প্রতিদিন তাদের গুনতে হচ্ছে ভাড়া। পণ্যবাহী জাহাজগুলির আয় কিছুই হলেও খরচ বেড়েই চলেছে। আসাম থেকে পাথর ও বোল্ডার নিয়ে যেতে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল ৫টি জাহাজ। ৩১ অক্টোবর জাহাজগুলি ধুবড়িতে নোঙর করে।
নিয়ম অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ কর্তৃপক্ষ থেকে তাঁরা অনুমতি নিয়েই আসামে প্রবেশ করেন। কিন্তু ব্রক্ষপুত্রের জল কম থাকা নিয়ে তাঁদের বিন্দুমাত্র সর্তক তাঁরা করেননি বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে বিদেশি জলযানকে সতর্ক করাটাই দস্ত্তর। তাই আগাম আভাস না পেয়ে ধুবড়িতে ব্রক্ষপুত্রের কম জলে আটকে রয়েছে জাহাজগুলি।
প্রতিটি জাহাজের ৩০০ থেকে ৪০০ মেট্রিকটন পাথর বহনের ক্ষমতা রয়েছে বলে জানা গেছে। এখন তাঁদের প্রতিদিন জাহাজ পিছু দেড় হাজার টাকা করে জেটির ভাড়া দিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জাহাজের কর্মীরাও আটকে পড়েছেন। তাঁরা কেউ আন্তর্জাতিক নিয়মের কারণে ধুবড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতেও পারছেন না।
জাহাজের কর্মী নরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের দুর্দশার কথা। কবে এই দুর্দশা থেকে তাঁরা মুক্তি পাবেন তার কোনও নিশ্চয়তা ও নেই। আর এটা হয়েছে কেন্দ্রীয় নৌপথ পরিবহন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে, এমটাই অভিযোগ।
আরএক্স/