শিক্ষকদের উঠিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের বসানোর ঘটনায় বিব্রত জাবি শিক্ষক সমিতি


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:১২ অপরাহ্ন, ১৫ই নভেম্বর ২০২৩


শিক্ষকদের উঠিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের বসানোর ঘটনায় বিব্রত জাবি শিক্ষক সমিতি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ৬টি হল ও একটি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই শিক্ষককে আসন থেকে উঠিয়ে দিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বসানোর ঘটনায় বিব্রত জাবি শিক্ষক সমিতি।


বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এম শামীম কায়সার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ৬টি হল ও একটি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিনেট সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদমর্যাদার শিক্ষকমন্ডলীর আসন নির্ধারিত না থাকায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তৈরি হয়েছে, তার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি খুবই বিব্রত। সমিতি আশা করে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে অনেক বেশি যত্নবান হবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট হবেন।


এদিকে শিক্ষক সমিতির এমন বিবৃতিকে দায়সারা উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক। জীববিজ্ঞান অনুষদের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানানো উচিত ছিলো। অথচ এত বড় একটি ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে বিব্রত বলে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এটি শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাস্কর। যেই সংগঠনের নেতাদের বসার জন্য শিক্ষকদের আসন থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে তার নাম নিতে শিক্ষক সমিতির এতো ভয় কিসের?


এই অধ্যাপক আরও বলেন, শিক্ষক সমিতির উচিত এমন একটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন যথাযথ প্রস্তুতি নেয়নি তার জবাবদিহীতা চাওয়া এবং শিক্ষক সমাজকে হেয় করার ঘটনায় নিন্দা জানানো। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বসার জন্য আসন নির্ধারিত করা হয়নি কেন তা জানতে চাওয়া।


এছাড়া কলা ও মানবিকী অনুষদের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, বিবৃতিতে সিনেট সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য ও বিভিন্ন পদমর্যাদার শিক্ষকমন্ডলীর আসনের বিষয়ে বলা হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি স্টেকহোল্ডার শিক্ষার্থীরা। এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্যও কোন আসন নির্ধারিত করে রাখা হয়নি। কোথায় এমন কোন ফটোকার্ট বা ইন্ডিকেটর ছিলো না যে এটি শিক্ষার্থী, এটি শিক্ষকদের জায়গা। এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথাযথ প্রস্তুতি না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া উচিত ছিলো।


উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নবনির্মিত ৬টি হল ও একটি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দু’জন শিক্ষককে তাদের আসন থেকে উঠিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বসানোর ঘটনা ঘটে।


আরএক্স/