পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো থেকে কয়লা অপসারণ শুরু
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১৪ অপরাহ্ন, ১৮ই নভেম্বর ২০২৩
মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে এস্কেভেটর দিয়ে ডুবন্ত জাহাজের কয়লা অপসারণের কাজ শুরু করে মালিকপক্ষ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় পশুর নদীর চরকানা এলাকায় ডুবো চরে আটকে তলা ফেটে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ এম,ভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-০১। এ জাহাজটিতে ৮শ মেট্টিক টন কয়লা ছিলো।
ডুবে যাওয়া জাহাজটির মালিক মো. বশির হোসেন জানান, কার্গো জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ২৭ঘন্টা পর ওই জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কয়লা অপসারণের পর কার্গো জাহাজটি উত্তোলনের কাজ শুরু করা হবে।
কয়লা অপসারণের কাজে 'ফারহা' নামক একটি টাংগ বোট ও অপসারণকৃত কয়লা রাখার জন্য 'মা বুশরা' নামক অন্য একটি নৌযান ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে। ৪/৫ দিনের মধ্যে কয়লা অপসারণসহ এম,ভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-০১ নামক জাহাজটি উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
মোংলা বন্দরে অবস্থানরত মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী এম,ভি দুবাই নাইট জাহাজ থেকে ৮শ মেট্টিক টন কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়া যাওয়ার পথিমধ্যে শুক্রবার (১৭নভেম্বর) সকালে পশুর নদীর চরকানা এলাকায় ডুবো চরে আটকে গেলে তলা ফেটে ডুবে যায় কার্গো জাহাজটি। তবে এ কার্গো দুর্ঘটনার পর থেকে বন্দরের মুল চ্যানেল দিয়ে বিদেশী জাহাজসহ অন্যান্য সকল ধরণের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ।
এদিকে কয়লা নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বাপা'র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. নুর আলম শেখ বলেন, কয়লা একটি বিষাক্ত ময়লা। এতে পশুর নদীর জলজ প্রাণীসহ সংলগ্ন সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। নদীর প্রাণীকূলের প্রজনন ক্ষমতাও নষ্ট হবে।তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কয়লা অপসারণের দাবী জানান তিনি।
আরএক্স/