সোশ্যাল মিডিয়া-ওটিটি প্ল্যাটফর্মের খসড়া প্রত্যাহারে ৪৫ আন্তর্জাতিক সংস্থার চিঠি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সোশ্যাল মিডিয়া-ওটিটি প্ল্যাটফর্মের খসড়া প্রত্যাহারে ৪৫ আন্তর্জাতিক সংস্থার চিঠি

ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) খসড়া প্রবিধানমালাটি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গোপনীয়তাকে বিপন্ন করবে মনে বলে করে ৪৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থা। যার কারণে তারা বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে।

সোমবার (৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়, প্রবিধানটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এনক্রিপশনকে দুর্বল ও অনলাইন নিরাপত্তাকে দুর্বল করবে। এ ছাড়া এটির প্রয়োগ মানবাধিকারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। সেইসঙ্গে সাংবাদিক, ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলবে।

এই প্রবিধানগুলোর মাধ্যমে বিচারিক তত্ত্বাবধান, স্বচ্ছতা, পূর্বাভাসযোগ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষায় যথাযথ প্রক্রিয়ার অনুসরণ ছাড়াই একটি কাঠামো বাস্তবায়ন হবে। যা মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিসহ মানবাধিকার কাঠামোর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।

বিটিআরসিকে খসড়া প্রবিধানটি প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এই প্রস্তাবনা ডিজিটাল নিরাপত্তাকে নষ্ট করবে এবং মানবাধিকার ও স্বাধীনতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।

খসড়া প্রবিধানটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে চিঠিতে উল্লেখ্য করা হয়।

সংস্থাটি বলেছে, পরিষেবাগুলির উদ্বেগগুলি মোকাবিলায় প্রবিধানগুলি পরিবর্তন করার জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রকদের প্রচেষ্টা মানবাধিকারের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক নিরপেক্ষতার মতো বিস্তৃত নীতিগুলির উপর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যদি ভুলভাবে করা হয়," সংস্থাটি বলেছে৷

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিটিআরসি অবশ্যই সঠিক সমস্যাগুলির সমাধান করতে চায় এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে কোন নিয়ন্ত্রক বিকল্পগুলি তাদের মোকাবিলার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে, একটি ওভারব্রড রেগুলেশনের মাধ্যমে বাধ্য করার পরিবর্তে।

চিঠি দেওয়া জোটভুক্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে অ্যাক্সেস নাও, অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রগ্রেসিভ কমিউনিকেশনস (এপিসি), বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টার, সিসিএওআই, সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড টেকনোলজি, সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চ (সিএমআর-নেপাল), আর্টিক্যাল ১৯, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), কোলাবরেশন অন ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি পলিসি ফর ইস্ট অ্যান্ড সাউদার্ন আফ্রিকা, ওপেন নলেজ ফাউন্ডেশন, ইন্টারনেট সোসাইটি কাতালান চ্যাপ্টার, ইন্টারনেট সোসাইটি দিল্লি চ্যাপ্টার, অর্গানাইজেশন অব দ্য জাস্টিস ক্যাম্পেইন, ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ান মুসলিম।

 ওআ/