গাছে গাছে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে মৌ মৌ ঘ্রাণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বাতাসে ভাসছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধু মাসের আগমণী বার্তা দিচ্ছে আমের মুকুল। আমবাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন নবাবগঞ্জের বাগান মালিকেরা।
মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগান সহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আমগাছ গুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলে মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে সফলতার স্বপ্ন। দেশি আমের পাশাপাশি আমরুপালি,গোপালভোগ,ল্যাংড়া,ফজলী জাতের আম উন্নতমান। নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় আমগাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারিদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের শুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। যেদিকে তাকাই গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমান সোনালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে নুইয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরা আসতে শুরু করছে মধু আহরণে। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবার ও ফিরে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত। প্রায় ৭০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক,কৃষি কর্মকর্তা ও আমচাষীরা আশা করছেন বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলা আমের বাম্পার ফলন হবে। বর্তমানে আম চাষী ও বাগান মালিকেরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমরুপালি,গোপালভোগ,ল্যাংড়া,ফজলী,রাজভোগ,বারি-৪ ও অন্যন্যা জাতের আম চাষের উপযুক্ত হওয়ায় চাষীরা নিজ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান করছেন।
মাহমুদপুর ইউনিয়নের মোগড়পাড়া গ্রামের আম চাষী শরিফুল ইসলাম জানান, পুরাপুরি ভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সব গাছেই মুকুল আসবে। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাংক্ষিত ফলনের আশা করছেন আম চাষীরা। ধীরে ধীরে উপজেলা জুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জনবাণীকে জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্যে বিশেষ উপযোগী। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে ছত্রাকজনিত রোগে আমের মুকুল ও ফুল গুটি আক্রান্ত হতে পারে। তাই ছত্রাকনাশক দেখা দিলে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে বলে জানান।
এসএ/