নিষেধাজ্ঞার ছিটেফোঁটাও নেই মাঠে, হরদমে জাটকা বিক্রি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৩


নিষেধাজ্ঞার ছিটেফোঁটাও নেই মাঠে, হরদমে জাটকা বিক্রি
হরদমে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। ছবি: জনবাণী

পটুয়াখালীর বৃহত্তর মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর এখানে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। নিষেধাজ্ঞায় আট মাস জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ থাকলেও কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন মাছের আড়ত এবং বাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে অবাধে। মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের।


পটুয়াখালী জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য বন্দর আলীপুর মহিপুরের আড়ৎগুলোতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন এ হাটে শতশত জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ভোর না হতেই শুরু হয় বেঁচাকেনা। দূর দূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে আড়তদারদের থেকে জাটকা ইলিশ কিনে গণপরিবহন ও যাত্রীবাহী, ট্র্যাক, নসিমন, ও সিএনজি যোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে বিক্রি করছে।


আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ৪০০ কেজি জাটকা জব্দ


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিপুর আলীপুর মৎস্য বন্দরে গুলোতে প্রশাসনের নাকের ডগায় হরদমে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। কিন্তু এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।


জাফর তালুকদার নামে একজন জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ত ও হাঁট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বছর প্রশাসন কিছু কিছু অভিযান চালালেও এবার এখনো কোনো অভিযান চোখে পড়েনি। দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, এবার এখনো অভিযান শুরু হয়নি। মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই আমাদের জাটকা  শিকার করতে হয়।


উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ঝাঁটকা নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই নৌ পুলিশ ৮০ কেজি ঝাটকা সহ দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। আমরা ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন স্পটে আগামী সপ্তাহ থেকে নিয়মিত চেকপোষ্ট বসাবো। এবং বন্দরগুলোতে আমাদের মনিটরিং ও নজরদারি থাকবে।


আরও পড়ুন: রায়পুরে প্রকাশ‍্য বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ


পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন,  ঝাঁটকা আহরণ, পরিবহন,ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আমরা মাঠে তৎপর রয়েছি। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করলে নিষেধাজ্ঞা শতভাগ বাস্তবায়ন হবে।


উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং তা বহাল থাকবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই আট মাস জাটকা আহরণ, ক্রয়, বিক্রয়, মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোনো বাঁধা নেই।


আরএক্স/